BRAKING NEWS

সোশ্যাল মিডিয়া হাব তৈরির সিদ্ধান্তের বিষয়ে কেন্দ্র্রের জবাব তলব শীর্ষ অাদালতের

নয়াদিল্লি, ১৩ জুলাই (হি.স.) : সোশ্যাল মিডিয়া হাব তৈরির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া বার্তা দিল শীর্ষ আদালত। শুক্রবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, \”এই ধরনের সিদ্ধান্ত একটি নজরদারি রাষ্ট্র তৈরির মত।\” শীর্ষ আদালতের আরও বক্তব্য, \”সরকার নাগরিকদের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা ট্যাপ করতে চায়।\” এবিষয়ে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব তলব করেছে আদালত। এছাড়াও অ্যাটর্নি জেনেরাল কে কে ভেনুগোপালের সাহায্যও চেয়েছে আদালত। অাগামী ৩ অগাস্ট ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে অাদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
অনলাইন তথ্যে নজরদারি চালাতে সোশ্যাল মিডিয়া হাব তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। ব্রডকাস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালটেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড সোশাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে। প্রকল্পের জন্য সফটওয়্যার প্রয়োজন বলে টেন্ডার দেওয়া হয়। এই সফটওয়্যার সোশাল মিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য সরকার ব্যবহার করবে। এছাড়া সরকারি স্কিমগুলি সম্পর্কে জনগণের মতামত সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া মিত্র।
আবেদনকারীর অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়া হাব স্থাপন করে কেন্দ্রীয় সরকার গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করবে। কেননা গতবছর সুপ্রিমকোর্ট গোপনীয়তার অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে ঘোষণা করেছিল। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালাতে প্রস্তাবিত হাবকে টুল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
এদিন মামলার শুনানিতে তাঁর আইনজীবী এ এম সিংভি বলেন, \”সরকার সোশ্যাল মিডিয়া হাব তৈরির জন্য টেন্ডার ডেকেছে। অাগামী ২০ অগাস্ট সেই টেন্ডার খোলা হবে। সরকার এই হাব তৈরির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালাবে।\”
মহুয়া মিত্রের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এ এম খানওয়ালিকর এবং বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, \”সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্টের উপর নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি করা হলে আমাদের দেশ একটি নজরদারি রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সরকার নাগরিকদের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা ট্যাপ করতে চায়।\” অ্যাটর্নি জেনেরাল বা আইন মন্ত্রকের অন্য কোনও আধিকারিক এবিষয়ে আদালতকে সাহায্য করবে বলেও জানায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *