BRAKING NEWS

কথার নাম লতা

সুবোধ ঘোষ
রাজ্য জুড়ে শিক্ষার মান কতটুকু পর্যায়ে গেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ শিক্ষার মানের এমন করুণ অবস্থার জন্য অনেকেই দায়ী৷ এর মধ্যে অন্যতম হল একাংশ শিক্ষক৷ এ শিক্ষকরা নামে শিক্ষক৷ আসলে শিক্ষার ধারে কাছেও তাদের বিচরণ নেই৷ ঠেইল্যা ঠুইল্যা কোন রকমে সুকল ডিঙ্গিয়া অনেকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক সেজে গেছেন৷ তাদের বেসিক জ্ঞান বলতে স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণ৷ অনেকে একনাগাড়ে ব্যঞ্জনবর্ণও বলতে পারবে না৷ কিন্তু তারাই শিক্ষক সেজে গেছেন৷ সমাজে তাদের একটা আলাদা মর্যাদাও রয়েছে৷ কেউ তাদেরকে স্যার ডাকে৷ অনেকে ডাকে মাস্টার দা৷ তারা যে জাতি গঠনের কারিগর৷ কথায় বলে শিক্ষকরা হল জাতির মেরুদন্ড৷
প্রশ্ণ হল সেই শিক্ষকদের মেরুদন্ড আছে কি? এমন প্রশ্ণ শুনে অনেকে হতবাক হবেন৷ তবে বিনীত ভাবে এতটুকু বলা যেতে পারে যে, সব শিক্ষকের ক্ষেত্রে এমন কথা প্রযোজ্য নয়৷ যে সব ভেকধারী শিক্ষক রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে মেরুদন্ডের অস্তিত্ব প্রশ্ণের মুখে৷ কেননা, এসব শিক্ষক পুরো শিক্ষক সমাজের কলংক৷ তাদের কোনও ‘এলেমের’ জোর নেই৷ আছে শুধু তৈল মর্দনের জোর৷ এ জোরে তারা শিক্ষার মত মহান পেশায় নিজেদের যুক্ত করে নেন৷ এবং স্যারের মর্যাদা পান৷ আসলে যে তারা কেঁচো পন্ডুষ তা কেউ ভাবে না৷ বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরে থাকা এমন শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর সেজে নিজেদের বিদ্যার বহর জাহির করেন৷ অবুজ কঁচি শিশুরা তার মাথামুন্ডু কিছু বোঝে না৷ তেমনি একজন শিক্ষককে নিয়ে আজকের আলোচনা৷ বলা যেতে পারে ওই শিক্ষকের কথা বলার জন্য এমন গৌরচন্দ্রিকা ভাঁজা৷
এই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কোন এক প্রাথমিক সুকলে শিক্ষকতা করেন৷ তিনি অনেক সময় মুখে মুখে ছেলেদেরকে পড়ান৷ একদিন তিনি ছেলেদেরকে বলতে শোনা গেল- এই তোরা আমার সাথে সাথে বল- কপোল বাহিয়া পড়ে অশ্রুজল৷ ছেলেরাও সমন্বয়ে বলতে লাগল কপোল বাহিয়া পড়ে অশ্রুজল৷ এরই মধ্যে একজন ক্ষুদে ছাত্রের মনে প্রশ্ণ জাগে৷ সে স্যারকে জিজ্ঞেস করল- স্যার কপোল মানে কী?
স্যার তার প্রশ্ণ শুনেতো রেগে আগুন৷ বললেন- বেয়াদব, আমাকে প্রশ্ণ করা হচ্ছে? উঠ, তুই বেঞ্চির উপর উঠ৷ ছেলেটি কাঁচুমাচু হয়ে বেঞ্চির উপর উঠল৷ স্যার বললেন- বেয়াদব, দুই হাত দিয়ে দুই কান ধর৷ ক্ষুদে ছাত্রটি তাই করল৷ স্যার তখন তার কাছে গিয়ে বললেন- এখন তোর গালে কষে চড় দিলে তুই কাঁদবি তো? ছাত্র মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো৷ স্যার তখন বললেন- ঠিক তখন তোর দু’পা উপরে তুলে ধরলে তোর মাথা নিচে নেমে যাবেতো৷ ক্ষুদে ছাত্র তাতেও সম্পতি জানালো৷ তখন স্যার বললেন- এইবার বল তোর চোখের জলের কি হবে৷ কপাল দিয়ে পড়বেতো৷ একেই বলে কপোল বাহিয়া পড়ে অশ্রজল৷ এবার বুঝলিতো গাদা? কিন্তু, প্রশ্ণ থেকে গেলে- গাদা কে? ছাত্র নাকি ওই শিক্ষক৷ কেননা, ওই শিক্ষক জানেন না যে, কপোল শব্দের অর্থ গন্ডদেশ৷ কপাল নয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *