BRAKING NEWS

বন্যার জলে ডুবে মৃত্যু যুবকের

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২০ জুন৷৷ ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটের জগন্নাথপুর এলাকায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা৷ বন্যার জলে পড়ে মৃত্যু হল বছর কুড়ির তরতাজা যুবকের৷ মৃত যুবকের নাম সিতাংশু মালাকার৷ ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা৷ পিতা সুনিল মালাকার৷ কিছুদিন যাবৎ টানা বৃষ্টিপাতে রাজ্যের ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছিল৷ তেমনি কুমারঘাট অঞ্চলের নানা প্রান্তে জুলে থৈ থৈ অবস্থা৷ আর এই বন্যার জলে পড়েই মৃত্যু ঘটে এই যুবকের৷ জানা গেছে, গত বুধবার সিতাংশু মালাকার তার একবন্ধু রাজু কল কে আত্মীদের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে হেটে রওয়ানা দেয়৷ কিন্তু পেঁচারথল এলাকায় আসার পর পা পিছলে রাস্তা থেকে পাশের জমির জলে পড়ে যায় সিতাংশু৷ সাথে সাথে বন্যার জলের প্রবল স্রোতে ঐ যুবককে জলে নিচে নিয়ে যায়৷ সাথে থাকা অপর বন্ধু রাজু কল জলে নেমে বন্ধুকে খোঁজতে শুরু করে৷ কিন্তু বন্যার জল এতটাই ছিল যে জলে তলিয়ে যাওয়া যুবককে তার খোঁজে পায়নি৷ তড়িঘড়ি সিতাংশু মালাকারের বাড়িতে খবর দেয় বন্ধু রাজু কল৷ সিতাংশুর মা, বাবা আত্মীয় পরিজনরা ঘঠনাস্থলে অনেক খোঁজা খোঁজি করলেও জলে তলিয়ে যাওয়া সিতাংশুর কোন খোঁজ পেলেন না৷ জানানো হয় কৈলাসহর থানা ও ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুধাংশু দাসকে৷ কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় বিধায়ক এক বারের জন্য জলে তালিয়ে যাওয়া যুবকের বাড়িতে বা ঘটনাস্থলে আসেন নি, এমনটাই মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ৷ জলে তলিয়ে যাওয়ার তিনদিন পর পেচারথল এলাকায় জলে সিতাংশু  মালাকারের মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখতে পান স্থানীয় জনগন৷ খবর দেওয়া হয় বাড়িতে৷ আত্মীয় পরিজনরা  সাথে সাথে কৈলাশহর থানা ও এমএলএ সুধাংশু দাসকে খবর দিলে উনারা বলেন মৃতদেহ জল থেকে  তুলে নিয়ে যেতে পরিবারের লোকদেড৷ অবশেষে বাড়ির লোকজন সিতাংশু মালাকারের মৃতদেহ জল থেকে তুলে নিয়ে শেষ কার্য্য সম্পূর্ণ করেন৷ এদিকে মৃত যুবকের মা বাবার দাবী বন্যার কারণেই তাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে৷ কিন্তু কৈলাশহর থানার পুলিশ ও ফটিকরায়ের বিধায়ক সুধাংশু দাস উনাদেরকে একবারও খোঁজ নেননি৷ তাই উনাদের একটাই দাবী রাজ্য সরকার যেন উনাদেরকে কিছুটা সাহায্য করেন৷ কারণ মৃতু হওয়া পুত্রই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা৷ আর সেই পুত্রের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে গোটা পরিবারের উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে৷ পাশাপাশি গোটা এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোঁকের ছায়া৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *