BRAKING NEWS

উদয়পুর হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ২০ জুন৷৷ চিকিৎসায় গাফিলতিতে আবারও অকালে ঝড়ে গেল এক অবুজ শিশুর প্রাণ৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গোমতী জেলা হাসপাতালে বুধবার ভোর রাতে সুমিত রুদ্র পাল (১৫ মাস) পিতা সুকান্ত রুদ্র পাল৷  বাড়ি হদ্রা পাল পাড়া৷ মৃত শিশুর পরিজনদের অভিযোগ চিকিৎসকদের গাফিলতির জন্য শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে৷ মঙ্গলবার বিকালে শিশুটি বমি করা নিয়ে টেপানিয়া গোমতী জেলা হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ অভিযোগ রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ জেলা হাসাপাতালের শিশু বিভাগে আসেন ডাক্তার স্বপ্ণা সিনহা৷ কিন্তু তিনি শিশুটিকে কোন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই দুর থেকে দেখে কিছু ঔষুধ পত্র লিখে দিয়ে দ্বায়িত্ব খালাস করেন৷ ভোর রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থা অবনতি ঘটলে নার্স এসে তিনটি ইঞ্জেকশন দেয় বলে অভিযোগ৷ তাদের অভিযোগ ইঞ্জেকশন দেবার কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুটি মৃত্যু কোলে ঢলে পরেন৷

অতি আদরের ১৫ মাসের শিশু পুত্র মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর আত্মীয় পরিজনরা জেলা হাসপাতালে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন৷ যদিও সেই সময় জেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরিজনদের ক্ষোভ আঁচ করতে পেয়ে শিশু ওয়ার্ডের সামনে পুলিশ ডেকে নিয়ে আসেন৷ শিশুটির পরিজনদের বক্তব্য হাসপাতালে চিকিৎসা গাফিলতির জন্যই শিশুর মৃত্যু ঘটেছে৷ যদিও হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানায় শিশুটিকে কোন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়নি৷ শিশুটির শ্বাস কষ্ট দেখে নার্সরা স্প্রে দিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, চলতি মাসে একই নেমে বন্ধুকে খোঁজতে শুরু করে৷ কিন্তু বন্যার জল এতটাই ছিল যে জলে তলিয়ে যাওয়া যুবককে তার খোঁজে পায়নি৷ তড়িঘড়ি সিতাংশু মালাকারের বাড়িতে খবর দেয় বন্ধু রাজু কল৷ সিতাংশুর মা, বাবা আত্মীয় পরিজনরা ঘঠনাস্থলে অনেক খোঁজা খোঁজি করলেও জলে তলিয়ে যাওয়া সিতাংশুর কোন খোঁজ পেলেন না৷ জানানো হয় কৈলাসহর থানা ও ফটিকরায় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সুধাংশু দাসকে৷ কিন্তু পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় বিধায়ক এক বারের জন্য জলে তালিয়ে যাওয়া যুবকের বাড়িতে বা ঘটনাস্থলে আসেন নি, এমনটাই মৃত যুবকের পরিবারের অভিযোগ৷ জলে তলিয়ে যাওয়ার তিনদিন পর পেচারথল এলাকায় জলে সিতাংশু  মালাকারের মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখতে পান স্থানীয় জনগন৷ খবর দেওয়া হয় বাড়িতে৷ আত্মীয় পরিজনরা  সাথে সাথে কৈলাশহর থানা ও এমএলএ সুধাংশু দাসকে খবর দিলে উনারা বলেন মৃতদেহ জল থেকে  তুলে নিয়ে যেতে পরিবারের লোকদেড৷ অবশেষে বাড়ির লোকজন সিতাংশু মালাকারের মৃতদেহ জল থেকে তুলে নিয়ে শেষ কার্য্য সম্পূর্ণ করেন৷ এদিকে মৃত যুবকের মা বাবার দাবী বন্যার কারণেই তাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে৷ কিন্তু কৈলাশহর থানার পুলিশ ও ফটিকরায়ের বিধায়ক সুধাংশু দাস উনাদেরকে একবারও খোঁজ নেননি৷ তাই উনাদের একটাই দাবী রাজ্য সরকার যেন উনাদেরকে কিছুটা সাহায্য করেন৷ কারণ মৃতু হওয়া পুত্রই ছিল তাদের একমাত্র ভরসা৷ আর সেই পুত্রের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে গোটা পরিবারের উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে৷ পাশাপাশি গোটা এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোঁকের ছায়া৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *