/কথার নাম লতা

কথার নাম লতা

সুবোধ ঘোষ

এক মাতাল আর এক মাতালকে বলে- দোস্ত, আমরা মদ খাইয়া মাতলামি করলে পুলিশ আমাগোরে ক্যান ধইরা নে৷

অন্য মাতাল বন্ধু বলে- কিতা যে কস? মদ খাইয়া মাতলামি কইল্যে আমাগোরে ধরবো না পুলিশ?

প্রথম মাতাল ঃ তাইলে গাঁজা যারা খায় তাগোরে ক্যান পুলিশ ধরে না৷ হেরাওতো গাঁজা খোর৷ আমরা যেমন মদখোর৷

দ্বিতীয় মাতাল ঃ হ, বন্ধু৷ ঠিকইতো কইছস৷ এক যাত্রায় দুই ফল ক্যান অইবো? আমরা মদখোর৷ আর হেরা অইলো গাঁজা খোর৷

প্রথম মাতাল ঃ বিচারডা কিন্তু ঠিক আইতাছে না৷

দ্বিতীয় মাতাল ঃ নারে দোস্ত, ঠিক অইতাছে৷ তাগোরে ধরতাছে না ঠিকই৷ কিন্তু, তাগোরে টাইট দেওনের লাইগ্যা সরকার গাঁজা বিরোধী অভিযানে নামছে৷ দেহিস, গাঁজা আর হেরা পাইবো না৷

প্রথম মাতাল ঃ দোস্ত, তুই কি কইতে চাস, গাঁজা চাষ বন্ধ অইয়া যাইবো গা? পয়ত্রিশ বছর ধইর্যা যারা গাঁজা চাষ কইরা আইছে তারা হাত গুটাইয়া বইয়া থাকবো? বোঝা গেল প্রথম মাতাল তালে ঠিক৷ মাতাল হলেও গাঁজা বিরোধী অভিযান নিয়ে সে দারুণভাবে সন্দিহান৷

বিজেপি জোট সরকার রাজ্য জুড়ে গাঁজা বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে৷ বিজেপি জোট সরকার বুঝতে পারছে যে, বাম আমলে রাজ্য জুড়ে গাঁজার চাষ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়৷ এ চাষ অবৈধ জেনেও অধিক মুনাফার লোভে এক শ্রেণির লোক গাঁজা চাষে মেতে উঠে৷ তারা যে, সিপিএমের পা চাটা ক্যাডার তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ একটা বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ গাঁজা চাষ ও ব্যবসা চলে৷ এমন অবৈধ নেশা কারবারীদের সাথে জড়িত রাজ্যের অনেক রাঘাব বোয়াল৷ এমন কি আরক্ষা দপ্তরের একাংশ কর্মী৷ তৎকালীন বাম সরকার ও যেন গাঁজা চাষে প্রচ্ছন্ন মদত দিয়েছে৷ ফলশ্রুতিতে গাঁজা চাষ লাগামহীন ভাবে বেড়ে গেল৷ অনেকে লাল ঝান্ডা হাতে নিয়ে গাঁজা চাষে মেতে উঠে৷ বাম আমলে অলিখিতভাবে যেন গাঁজা চাষ বৈধতা পেয়ে যায়৷ সেই সময়ে, পুলিশকে গাঁজা গাছ ধবংস করতে দেখা গেছে৷ পুলিশ বাহবা নিয়েছে৷ কিন্তু, আড়ালে চলেছে অন্য নাটক৷ একটা গাঁজা গাছ তিন বছর গাঁজা ফুল উৎপাদন করতে পারে৷ তিন বছর পর ওই গাছ অর্থহীন হয়ে পড়ে৷ তখন ওই গাছ কেটে ফেলতে হয়৷ বাম আমলে সেই কাটার কাজটি নাকি করতে দলদাসে পরিণত হওয়া পুলিশ ভাইয়েরা৷ পুলিশের সাথে নাকি গাঁজা চাষিদের ছিল এমনই দফারফা৷ বাম আমলে গাঁজা বিরোধী অভিযান ছিল এমনই নাটুকে ঘটনা৷