BRAKING NEWS

ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ভাল চলছে না ঃ রাজ্যপাল

নিজস্ব প্রতিনিধি৷৷ আগরতলা, ২৩ মে৷৷ ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ভাল চলছে না৷ উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ রেক্টর তথা রাজ্যপাল তথাগত রায়৷ তাঁর কথায়, পাঁচ বছর বাদে সমাবর্তনের অনুষ্ঠান হচ্ছে, তার মানে সবকিছু ভালভাবে চলছে না৷ ডিগ্রির জন্য পাঁচ বছর অপেক্ষা করা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না৷ এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন সমস্যা অনেকাংশে দায়ী, সে কথাও তিনি উদ্বেগের সুরে উল্লেখ করেছেন৷ বুধবার ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এই অচলাবস্থা দূর করে শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে পরামর্শ দিয়েছেন৷

রাজ্যপালের মতে, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন স্রেফ একটি অনুষ্ঠান নয়৷ এই অনুষ্ঠান জীবনের পরবর্তী পদক্ষেপের একটি ধাপ৷ তাঁর বক্তব্য, দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পরিকাঠামো নেই৷ তাই তাঁর বিশ্বাস, এই পরিকাঠামোকে ব্যবহার করে জ্ঞানের আরও বিকাশ ঘটবে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে ককবরক ভাষার পাঠ্যক্রম শুরু হওয়ায় তিনি খুবই খুশী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন৷

তা সত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ভালভাবে চলছে তা মনে করেন না রাজ্যপাল৷ তাঁর কথায়, কিছু নিজস্ব এবং বহিরাগত সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে৷ ফলে, আশানুরূপ কাজ করে দেখাতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়৷ তিনি অবাক হয়ে বলেন, পাঁচ বছর পরে এবছর সমাবর্তন অনুষ্ঠান হচ্ছে, তা বড়ই দূর্ভাগ্যজনক৷ প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন, তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না৷ তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, নানা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সমালোচিত হচ্ছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়কে কলংকিত করছে৷

এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন সমস্যার বিষয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য, আজ অনুষ্ঠানে অনেকেই আসেননি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে কয়েকজন আধিকারীক আজ অনুপস্থিত, খালি চেয়ার তারই প্রমাণ দিচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিকে বদলানো না গেলে বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে তার জৌলুষ হারিয়ে ফেলবে৷

রাজ্যপাল এদিন সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছেন৷ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিতেও বলেছেন৷

সমাবর্তনে পাঁচজনকে পিএইচডি শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে৷ উপরাষ্ট্রপতি তাদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন৷ মূল অনুষ্ঠানের পর বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের পদক দিয়ে পুরসৃকত করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *