আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই সরকারের লক্ষ্য ঃ আইন মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ মে৷৷ সরকারের মূল লক্ষ্য হল রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা৷ এক্ষেত্রে সরকারী আইনজীবীদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে৷ এই কাজ সুচারু রূপে সম্পন্ন করতে সরকারী আইনজীবীদের সততা, নিষ্ঠবান, অধ্যাবসায়ী ও পরিশ্রমী হতে আহ্বান জানিয়েছেন আইন মন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ আজ প্রজ্ঞা ভবনে বিচার ব্যবস্থায় সরকারী আইনজীবীদের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে নিয়ে আইন মন্ত্রী রতনলাল নাথ এ কথাগুলি বলেন৷
আইন দপ্তরের অন্তর্গত ত্রিপুরা ল-ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের কোর্টে নব নিযুক্ত পি পি, এ পি পি, অতিরিক্ত পি পি, জি পি, অতিরিক্ত জি পি এবং জি এ-রা অংশগ্রহণ করেন৷ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইন মন্ত্রী শ্রী নাথ বলেন, সংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগ হচ্ছে গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ৷ প্রশাসন ও আইন বিভাগ যদি কোন ক্ষেত্রে ভুল করে বিচার বিভাগ তাদের শুধরে দিয়ে সু-শাসনকে নিশ্চিত করে৷ আর জনগণের কোন অংশ যদি অশুভ শক্তির ইঙ্গিতে বিপথগামী হয় তখন সরকারের তিনটি অঙ্গকেই সমানভাবে সক্রিয় হতে হয় সমস্যার সমাধানের জন্য৷ তিনি বলেন, মানুষ যাতে তার প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়, তার অধিকার যাতে খর্ব না হয়, সে জন্য রাজ্যের বর্তমান সরকার ব্রতী হয়েছে৷ এই সঙ্কল্প নেয়া হয়েছে প্রকৃত জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য, যাতে শান্তিপূর্ণ এক নতুন ত্রিপুরা গড়া যায়৷ সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও তিনি জানান৷ সরকারী আইনজীবীদের এজন্য একটি টিম হিসেবে কাজ করতেও আইন মন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, এই কাজ তখনই সম্ভব হবে, যখন সরকারী আইনজীবীরা সততা, নিষ্টা পরিশ্রমের সঙ্গে সর্ব শেষ আইন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন৷ সরকারী আইনজীবীদের দক্ষমতার উপর সরকারের সুনাম নির্ভর করার কথাও উল্লেখ করেন আইন মন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ মামলা চালানোর ক্ষেত্রে সরকারী আইনজীবারা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা দপ্তরের নজরে নিয়ে আসতেও তিনি সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন৷ পাশাপাশি শাস্তির হার যাতে আরও বাড়ানো যায় তার উপর গুরুত্ব দিতে বলেন৷
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভিক ভাষণে আইন সচিব দাতামোহন জমাতিয়া বলেন, সরকারী আইনজীবীদের মূল কাজ হল মামলার রায় সরকারের পক্ষে নিয়ে আসা৷ এজন্য কোন মামলা কোর্টে কিভাবে উপস্থাপনা করতে হবে তা দেখতে হবে৷ তিনি বলেন, সিভিল কেইসের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ মামলা সাধারণত নাগরিকরা সরকারের বিরুদ্ধেই করে থাকে৷ এই মামলাগুলির ক্ষেত্রে যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর, সরকারের অবস্থান সঠিকভাবে কোর্টে উপস্থাপন করতেও তিনি সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন৷ পাশাপাশি ফৌজদারি মামলায় ইনভেষ্টিকেশনের উপর বিশেষ জোর দিতে তিনি পরামর্শ দেন৷ এ ক্ষেত্রে পুলিশকেও পরবর্তী সময় পৃথকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে আইন সচিব জানিয়েছেন৷ ট্রেইনিং প্রোগ্রামে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা হাইকোর্টের পি পি বাবুল চৌধুরী, হাইকোর্টের জি এ নিতাই চৌধুরী, রিসার্চ সেন্টারের ফেকাল্টি মেম্বার ড বি কে কিলিকদার ও শুভেন্দু দাশগুপ্ত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *