BRAKING NEWS

বিজেপির দ্বিচারিতা নাকি সমঝোতা

সুবোধ ঘোষ

রাজ্য জুড়ে বর্তমানে শুধু একটা বিষয় আলোচিত হচ্ছে৷ তা হল উচ্ছেদ অভিযান৷ এ অভিযানের খঁুটিনাটি দিকগুলি তুলে ধরা হচ্ছে৷ নিঃসন্দেহে নতুন সরকার বিজেপির এটি হল প্রশংসনীয় দিক৷ কিন্তু, এরমাঝেও একটা প্রশ্ণ উহ্য থেকে যাচ্ছে৷ তা হল সরকারী জমিতে অবৈধভাবে তৈরী দলীয় অফিস ভাঙার অভিযান চলছে কি? তবে কি বিজেপি সরকারের টার্গেট হল সরকারী জমিতে তৈরী সিপিএম ও কংগ্রেসের অফিস? এর মাঝে ছিটে ফোঁটা বিজেপি ও তার সহযোগী সংগঠনের অফিসও ভাঙ্গা হচ্ছে৷ কিন্তু, তার প্রভাব তেমন পড়ছে না৷ অনেকের অভিমত হল রাজ্যের বিজেপি সরকার বিরোধী দলগুলিকে নিশ্চিহ্ণ করার মতলবে রয়েছে৷ ফলে কংগ্রেস ও বিজেপির দলীয় অফিসকে তারা টার্গেট করছে৷ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধী দলগুলির পাকা অফিস ভবনও৷ কিন্তু, এরপরও যেন সরকারের দ্বিচারিতার ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে উঠে৷ এবং তা নিয়ে জনমানসে চলছে গুঞ্জন৷

প্রথম গুঞ্জনটি জন্ম নিল জিবি বাজারে৷ বিজেপি সরকার রাজধানীতে প্রথম উচ্ছেদ অভিযানে নামে মোটরস্ট্যান্ডে৷ পরদিন উচ্ছেদ অভিযান ছিল জি বি বাজারে৷ সেখানে স্বদলীয় থেকে শুরু করে বিরোধী দলের পার্টি অফিসগুলি ভাঙা হল৷ কিন্তু, অবৈধ ভাবে থাকা কোনও দোকান ভাঙ্গা হল না৷ কেন এমন আচরণ হল আমজনতা বুঝলো না৷ পরবর্তীতে আম জনতা দ্বিতীয়বার ধাক্কা খেল কাঞ্চনপুরে৷ কেননা, কাঞ্চনপুরের দামছড়াও ভাঙ্গা হল না সিপিএম দলের পার্টি অফিস৷ এ অফিস সরকারী ভাবে ভাঙ্গার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, সিপিএম নেতারা আইপিএফটির সাথে মিতালী করে অফিসটি অক্ষত রাখার ব্যবস্থা করে৷ এ অফিসটি রিজার্ভ ফরেস্টের জায়গায় তৈরী করা হয়েছে৷ কোনও অনুমতি নেয়া হয়নি৷ সুতরাং অবৈধভাবে নির্মিত৷ তবুও অফিসটি অক্ষত কি করে থাকলো? কেন নোটিশ দেবার পরও অফিস ভাঙ্গা হল না? এতে কি বিজেপি সরকারের দ্বিচারিতা প্রকট হয়ে উঠেনি৷ অফিসের সামনে যদি সিপিএমের সাইনবোর্ড থাকতো তা হলে অফিসটি এতক্ষণে মাটির সাথে মিশে যেত৷ কিন্তু, তা হল না৷ কেননা, এ অফিসের মালিক এখন আইপিএফটির সমর্থক ও কর্মী৷ বিজেপির শরিক দলের লোক৷ এমনিতে বিএসি চেয়ারম্যান ঘিরে আইপিএফটির তান্ডবে অতিষ্ঠ বিজেপি সরকার৷ শরিক দলকে কোনভাবে বশে আনতে পারছে না৷ ভাঙচুর করা হচ্ছে থানা, রাস্তা অবরোধ করে জীবনযাত্রা দুর্বিসহ করে তোলা হচ্ছে৷ ঠিক এমনি এক উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিএসসিও সাইনবোর্ড লাগানো অফিস গুড়িয়ে দেবার অর্থ হবে আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়া৷ এমন ভয়ে কী কাঞ্চনপুরের প্রশাসন ওই অফিসঘর ভাঙ্গা থেকে বিরত থাকলো? এমন প্রশ্ণ কিন্তু, এসে যায়৷ এবং তা যদি সত্য হয় তাহলে কি বলা যেতে পারে, নতুন বিজেপি সরকারও দ্বিচারীতায় ভুগছে? নাকি শরিক দল আইপিএফটির ভয়ে উচ্ছেদ অভিযান গুটিয়ে নিচ্ছে? নাকি উচ্ছেদ অভিযানের ক্ষেত্রে বিজেপি সরকারের অভিমুখ সিপিএম ও কংগ্রেস অফিস?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *