BRAKING NEWS

১৯ বছর পর রাজ্যে চার আরএসএস প্রচারকের অপহরণ কান্ডের তদন্তে সিট

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ এপ্রিল ৷৷ অপহরণের ১৯ বছর পর রাজ্য সরকার ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷ ১৯৯৯ সালে ধুমাছড়া থেকে এনএলএফটি জঙ্গিদের বন্দুকের নলের মুকে অপহৃত হয়েছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ এর চার প্রচারক৷ অপহৃত প্রচারকরা আজ পর্যন্ত পিরে আসেননি৷ অনুমান, জঙ্গিদের হাতে অপহরণের পর তাদের হত্যা করা হয়েছিল৷ দিল্লি থেকে আগরতলায় ফেরার পর ত্রিপুরার বিজেপি সভাপতি তথা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব টেলিফোনে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার মোটামুটিভাবে সিট গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে৷ এ ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে কারা যুক্ত এবং পরবর্তীতে এই চার দেশভক্তের কী হল তা দেশবাসীর জানার বিশেষ প্রয়োজন৷ তাঁদের বিষয়ে সবই এখন অনুমান করা হচ্ছে মাত্র৷ তাদের সঙ্গে আসলে কী হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি৷ কারণ প্রকৃত তদন্ত আদৌ হয়নি৷ চার প্রচারকের সঙ্গে কী হয়েছিল তা সবই প্রকাশ্যে আসা প্রয়োজন৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তদন্ত আরও আগে হলেই ভালো ছিল৷ কিন্তু হয়নি৷ এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়৷ যারা জনজাতি এলাকাযকাজ করতে গিয়ে এ ধরনের চরম পরিণতির স্বীকার হলেন তাদেব এভাবে ভুলে যাওয়া যায় না৷ অন্যদিকে রাজ্য সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে জানা গেছে, রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী টমি (সিট) ১৯ বছর আগে সংঘটিত ঘটনার তদন্তে গঠন করা হবে৷ তবে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক কিংবা একজন সিনিয়র আইজিকে সিট এর প্রধান করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে৷ তবে রাজ্য পুলিশের সিআইডি শাখায় কর্মরত ইন্সপেস্টর কমলেন্দু ভৌমিককে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নথিপত্র সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সিট-এ তদন্তকারী আধিকারিক হিসাবে থাকবেন৷
উল্লেখ করা যেতে পারে , ১৯৯৯ সালের ৬ আগষ্ট অবিভক্ত উত্তর জেলার ধুমাছড়া বনবাসী কল্যাণ আশ্রম থেকে অপহৃত হয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের জেলা প্রচারক দীনেন্দ্র নাথ দে, উদয়পুর নগর প্রচারক শুভঙ্কর চক্রবর্তী, বিভাগ প্রচারক হয়ে আসা সুধাময় দত্ত এবং প্রবীণ প্রচারক শ্যামলকান্তি সেনগুপ্ত৷ এঁরা সকলেই পশ্চিমবঙ্গের নিবাসী ছিলেন৷ কিন্তু সংঘের প্রচার ও প্রসারের জন্য রাজ্যে এসেছিলেন এবং জনজাতি অংসের মানুষের সঙ্গে তাদের নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়৷ তাদের মধ্যে দুজন সুধাময় দত্ত এবং শ্যামলকান্তি সেনগুপ্ত রাজ্যে এসে সবেমাত্র কাজ শুরু করেছিলেন এবং জনজাতিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় জেরে তাঁরা ককবরক ভাষাও বলতে পারতেন৷ তাদের উদ্ধারের বিষয়টি তদারকি করতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানীও ত্রিপুরায় এসেছিলেন৷ কিন্তু কিছুতেই সাফল্য আসেনি৷ তবে পরবর্তী সময় তাদের আর কোনও খোঁজখবর নেওয়া হয়নি৷ যদিও বেসরকারি সূত্রে বাংলাদেশের জঙ্গি ডেরায় তারা বেশ কয়েকবছর বাদে অনাহারে অর্ধাহারে অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে খবর আসে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *