BRAKING NEWS

এক্সরে ও ইসিজি মেশিন বিকল, খোয়াই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ২২ এপ্রিল৷৷ খোয়াই জেলা হাসপাতালের বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা৷ যা নিয়ে খোয়াইয়ের জনগণের বিশাল ক্ষোভ৷ প্রায় দেড় লক্ষাধিক জনগণের সেবায় নিয়োজিত খোয়াই জেলা হাসপাতাল বাম আমল থেকেও খারাপ পরিসেবা দিচ্ছে৷ একমাত্র অকর্মন্যতার দরুন বর্তমানে খোয়াই জেলা হাপাতালে প্রায় দেড় কোটি টাকায় কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন নষ্ট হয়ে আছে৷ ড্রেসিং রুম পর্যন্ত নেই৷ সরকারিভাবে এক্স-রে পরিসেবা পেতে ৮০ টাকা এবং বেসরকারীভাবে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দিতে হয়৷ তবে এর রিপোর্ট পাওয়া যায়না৷ হাসপাতালের ইসিজি মেশিন ও নষ্ট৷ সরকারীভাবে ইসিজি মেশিনের পরিসেবা পেতে ৪০ টাকা এবং বেসরকারীভাবে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দিতে হয়৷ সরকারী প্যাথলজিতে অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা হয়না৷ বেসরকারীভাবে প্যাথলজি-তে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করাতে হয়৷ যার রিপোর্ট নিয়ে অভিযোগ প্যাথলজি ল্যাবে কোন ডাক্তার বাবু নেই৷ যার ফলে খোয়াইয়ের ল্যাব নিজেরাই রিপোর্ট প্রদান করে৷ যা নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে৷ জেলা হাসপাতালে প্রায় ৩০০ থেকে ৩৪০ প্রকার ঔষুধ থাকলেও ডাক্তার বাবুরা তা প্রেসক্রাইবড করেন না৷ বাধ্য হয়ে চড়া দামে এবং নিম্নমানের ঔষুধ দোকান থেকে চিনতে হয়৷ জেলা হাসপাতালে ড্রেসিং রুম পর্যন্ত নেই৷ জঞ্জাল, দুর্গন্ধ, পুঁতিময় অবস্থায় শৌচালয়৷ হাসপাতালে জল থাকেনা৷ প্রায়দিন বিদ্যুৎ পরিসেবা খারাপ থাকে৷ ইলেট্রিক ফেনগুলি বেশিরভাগেই খারাপ৷ এম্ব্যুলেন্স পরিসেবা প্রায়ই, থাকেনা৷ দালাল চক্রে বেসরকারী গাড়ী নিয়ে যেতে হয় রোগীদের৷ এছাড়া হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে৷ একজন ডাক্তার বাবুকে ইন্ডোর সামাল দিতে হয়৷ বিশেষ করে বিকাল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত৷ আবার একজন ডাক্তারকেই বেড এর রোগী সহ জরুরী অবস্থা সামাল দিতে হয়৷
বাম আমলে যে কায়দায় চলছিল আজও তথৈবচ অবস্থা৷ জনগণের অভিমত যদি বাড়ীর অভিভাবক ঠিক না থাকে তবে সংসার তলিয়ে যায়৷ খোয়াই জেলা হাসপাতালেও সেই একই অবস্থা৷ বর্তমান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণে ঠিকভাবে খোয়াই জেলার ৬টি বিধানসভা এলাকার সবকটি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য, কেন্দ্রগুলি উনার পক্ষে সামলানো যাচ্ছেনা৷ খোয়াই মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাজ হচ্ছে সব সময় জেলা হাসপাতালে সর্বদিক দেখাশুনা করা৷ উনি বা আমলে বাম, ডান আমলে ডান, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সভা সুন্দর হতে বসে পড়েন৷ সব সময় তিনি একটি ঔষুধের দোকানে বসে সময় কাটাতে ভালবাসেন৷ যেখানে প্রতিদিন হাসপাতাল পরিদর্শন করার কথা সেখানে ৩০ দিনে একবারও হাপাতালে দেখা যায়না৷ সব আমলেই মেনেজ করা হাসপাতালে প্রায় সব সদস্য কর্মীরা মানিয়ে চলে না৷ আর ভোগান্তি সাদারণ গরীব শ্রমীক জনগণের৷ কারণ প্রথম শ্রেণী এবং নেতাদের চিকিৎসার জন্য যেতে হয়না হাসপাতালে৷ যার ফলে বাম আমলকেও হার মানাচ্ছে বর্তমান জেলা হাসপাতাল৷ আর এই সুযোগে রাজধানী এবং বহিঃরাজ্যের চিকিৎসকরা রমরমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে খোয়াই জেলায়৷ জনগণের আবেদন শুধু রাজধানীর দিকে নজর না দিয়ে সরকার যেন জেলা হাসপাতালগুলোর দিকেও একটু নজর দেয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *