নয়াদিল্লি, ২১ এপ্রিল (হি.স.) : দেশে একের পর এক শিশু ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহলে শিশু ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবিকে সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, ১২ বছরের কমবয়সীদের ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের উপর সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী শিশু ধর্ষকদের চরম শাস্তি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকার পসকো আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ সেইমত এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অর্ডিন্যান্স জারি করে এই সংশোধনীতে সিলমোহর দিয়ে দিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা শনিবার এই অধ্যাদেশ জারি করে নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করল। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টকে চিঠি দিয়ে কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, শিশুদের ধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার কথা ভাবা হয়েছে। সেজন্য আইনে সংশোধনী আনার প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কাঠুয়া কাণ্ডে নাবালিকার ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী মানেকা গান্ধী পর্যন্ত শিশুদের ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করেন। সেই দাবির পর কেন্দ্র তৎপরতা দেখিয়ে আইন বদলে উদ্যোগী হয়। মানেকা কাঠুয়ার ঘটনা সামনে আসার পরে বলেছিলেন, আমি গভীর অশান্তিতে রয়েছি। আমি ও আমার মন্ত্রক পকসো আইনে রদবদলের তদ্বির করছি। যাতে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত নাবালিকাদের ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড হয় এবং যাতে কেউ নাবালিকাদের ধর্ষণের আগে দুবার ভাবতে হয়। সেই দাবি মেনেই ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হবে। শিশুদের ধর্ষণদের দোষ প্রমাণে মৃত্যুদণ্ডই হবে সর্বোচ্চ সাজা। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের দাখিল হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানি আগামী শুনানি হবে ২৭ এপ্রিল। তার আগেই আইনে সংশোধনী এনে ফেলল কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, বর্তমান পসকো আইনে নাবালিকা ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির কোন বিধান নেই৷ শিশু ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাব্বজীবন কারাদণ্ড৷ কিন্তু কাঠুয়া ও উন্নাওয়ের ঘটনা গোটা দেশকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে৷ বিশেষ করে কাঠুয়ার আট বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে নির্মম ভাবে খুন করার ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে৷