BRAKING NEWS

শুক্রবার নয়, সলমনের জামিনের আবেদনের শুনানি শনিবার

যোধপুর, ৬ এপ্রিল (হি.স.): শুক্রবার নয়, সলমন খানের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে শনিবার, ৭ এপ্রিল| অর্থাত্ শুক্রবার রাতেও যোধপুর সেন্ট্রাল জেলেই কাটাতে হবে সল্লু মিঞাকে| আদালত সূত্রের খবর, শুক্রবার জামিনের ফয়সালা হবে না, তাই শুনানি হবে শনিবার| ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় যোধপুরে ছিলেন সলমন খান, সৈইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, তাব্বু ও নীলম| অভিনেতাদের বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালের ১ ও ২ অক্টোবরের মধ্যবর্তী রাতে যোধপুরের কাঙ্কানি গ্রামে দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল| সলমনের বিরুদ্ধে ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্টের অন্তর্গত ৫১ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল| বৃহস্পতিবার ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করেন যোধপুর জেলা প্রিসাইডিং আধিকারিক দেলকুমার খাত্রি| কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলিউড অভিনেতা সলমন খানকে| বৃহস্পতিবার বিকেলেই যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হয় ভাইজানকে|
সলমন খানের জামিনের আবেদনের শুনানির জন্য শুক্রবার সকালেই যোধপুর দায়রা আদালতে পৌঁছে যান সলমনের আইনজীবী মহেশ ভোরা| কিন্তু, সলমনের জামিনের আবেদনে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত| সলমনের আইনজীবী জানিয়েছেন, মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র তলব করেন বিচারপতি| এই কারণে তিনি মোট ৫১ পাতার জামিনের আবেদন আদালতে জমা দেন| সব কাগজপত্র খুঁটিয়ে দেখতে সময় লাগবে বলে আদালত শনিবার পর্যন্ত শুনানির জেরে রায়দান স্থগিত রেখেছে| অর্থাত্ সলমন খানকে আরও একরাত জেলে কাটাতে হবে|
এদিকে, জেলে গিয়ে প্রথম রাতটা না খেয়েই কাটালেন সল্লু মিঞা| জেলের খাবার মুখে তোলেননি মহাতারকা| যোধপুর সেন্ট্রাল জেলের ১০৬ নম্বর কয়েদি সলমনকে রাতে অন্যান্য বন্দিদের মতোই রুটি, ডাল এবং তরকারি খেতে দেওয়া হয়| কিন্তু, সলমন তা খাননি| তিনি বাইরে থেকে কোনও খাবার আনাননি| রাতে ঘুমানোর জন্য সলমনকে সাধারণ একটি চৌকি, একটি তোষক এবং কুলার দেওয়া হয়|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *