বাড়তে চলেছে সরকারী দপ্তরে কাজের সময়, বদলাবে বিদ্যালয়গুলির পঠন-পাঠন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ মার্চ৷৷ খুব শীঘ্রই বাড়তে চলেছে সমস্ত সরকারী দপ্তর এবং সরকার অধীনস্থ সংস্থাগুলির কাজের সময়৷ এরই সাথে সমস্ত সরকারী ও সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিরও পঠন-পাঠনের সময় বাড়তে চলেছে৷ সূত্রের খবর, নতুন সরকার বিভিন্ন দপ্তর এবং বিদ্যালয়গুলি কেন্দ্রীয় সরকারের ধাঁচে কাজের এবং পঠন-পাঠনের সময় নির্ধারণ করতে চাইছে৷

বর্তমানে সরকারী দপ্তরগুলিতে প্রতি মাসে দুটি শনিবার ছুটি থাকে৷ মাসের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শনিবার সমস্ত সরকারী অফিস ছুটির দিন ধার্য্য করে রেখে গেছে পূর্বতন সরকার৷ বদলে, কাজের সময় আধ ঘন্টা বাড়িয়েছিল৷ কিন্তু, নতুন সরকার এই নিয়মেও বদল আনতে চাইছে বলে সূত্রের খবর৷ সূত্রের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন দপ্তরগুলিতে যে ধাঁচে কাজের সময় নির্ধারণ করা রয়েছে, তেমনটাই করতে চাইছে নতুন সরকার৷ তাতে প্রতি শনি ও রবিবার সমস্ত সরকারী দপ্তর এবং সরকার অধীনস্থ সংস্থাগুলিতে ছুটি চালু করা হবে৷ অবশ্য, এক্ষেত্রে কর্মচারীদের আনন্দিত হওয়ারও কোন সুযোগ নেই৷ কারণ, নতুন নিয়ম অনুযায়ী কাজের সময় নির্ধারণ করা হবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত৷

সরকারী মতে, মাসে প্রতি শনিবার ছুটি দেওয়া হলেও, কাজের সময় বাড়ানো হলে গতি আসবে কাজে৷ এক্ষেত্রে দুইদিন ছুটি বাড়লেও, সাথে বাড়ছে প্রতিদিন দেড় ঘন্টা করে কাজের সময়৷ সরকারের দাবী, মাসে প্রতি সপ্তাহে টানা দু’দিন ছুটি উপভোগ করবেন কর্মচারীরা, সেক্ষেত্রে বাকি পাঁচদিন দেড় ঘন্টা বেশি কাজ করতে কারোরই কোন আপত্তি থাকার কথা নয়৷

এদিকে, সরকারী এবং সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিরও পঠন-পাঠনের সময় বাড়াতে চাইছে নতুন সরকার৷ সরকারের যুক্তি, গ্রীষ্মকালীন, শীতকালীন, দূর্গোৎসব এবং অন্যান্য ছুটি মিলিয়ে বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠনের সময় যথেষ্ট নয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য৷ এক্ষেত্রে ছুটি বাতিল করার যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করছে নতুন সরকার৷ কিন্তু, বিদ্যালয়গুলিতে পর্যাপ্ত সময় পঠন-পাঠন সুনিশ্চিত করতে বর্তমান নিয়মে ফেরবদল করা না হলে ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হওয়ার সুযোগ খুবই কম৷ তাই, ছুটির সময়ে কোন বদল আনার পরিবর্তে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের সময় বাড়াতে চাইছে রাজ্য সরকার৷ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠনের জন্য যে সময় নির্ধারণ করা রয়েছে, তেমনটাই চাইছে নতুন সরকার৷ অবশ্য, এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের সহযোগীতাও প্রয়োজন বলে মানছে রাজ্য সরকার৷

সূত্রের খবর, সমস্ত দপ্তর এবং বিদ্যালয়গুলির পঠন-পাঠনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সূত্রের দাবি, প্রস্তাবিত নতুন নিয়ম নিয়ে সকলের মতামতও চাইবে রাজ্য সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *