BRAKING NEWS

উদয়পুরে এক মাসের কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু, জনতার চাপে শ্মশান থেকে মৃতদেহ এনে ময়নাতদন্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ২৪ মার্চ৷৷ এক মাস তিনদিনের কন্যা সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উদয়পুরের গকুলপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷

এক মাসের কন্যা সন্তানের মৃতদেহ কোলে নিয়ে শোকাহত মা৷ ছবি নিজস্ব৷

পাশাপাশি ময়নাতদন্ত না করে শিশুর মৃতদেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ শেষে জনগণের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ শ্মশান থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়৷

সংবাদে প্রকাশ, গকুলপুর গ্রামের গোপাল দে পাড়ার বাসিন্দা সুকুমার দেবনাথ৷ তাঁর দুই ছেলে স্বপন ও সুকুমার৷ সুকুমারের ঘরে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে৷ অন্যদিকে স্বপনেরও কন্যাসন্তান দুটি৷ দ্বিতীয় কণ্যার বয়স মাত্র একমাস তিন দিন৷ বাড়িতে দুই ভাইয়ের ঘরে একের পর এক কন্যা সন্তানের জন্ম নেওয়ায় অসন্তুষ্ট পরিবারের সিংহভাগ সদস্যই৷ এক মাস তিন দিন বয়সের কন্যা সন্তানটির নাম দিপাঞ্জনা৷ তার জন্মের পর থেকেই বাড়িতে অশান্তি বাড়তে থাকে৷ শিশুটি জন্ম নেওয়ার পর মা সহ তাকে বাড়িতে নেওয়া হয়নি৷ বাবা স্বপন দেবনাথ তাদের পাঠিয়ে দেন শ্বশুর বাড়িতে৷ পড়শুদিন দিপাঞ্জনাকে নিয়ে তার মা গকুলপুরে আসেন৷ রাতে যথারীতি দিপাঞ্জনাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে তার মা৷ সকাল পাঁচটা নাগাদ মা দেখতে পায় তার সন্তান তথা দিপাঞ্জনা কোন সাড়া শব্দ করছে না৷ সাথে সাথেই চিৎকার চেচামেচি শুরু করেন৷ বাড়ির লোকজন দ্রুত ঐ দিপাঞ্জনাকে হাসপাতালে নিয়ে যান৷ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান যে দিপাঞ্জনাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে৷ মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হতেই শনিবার সকালে গোটা গকুলপুরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ এদিকে, হাসপাতালের চিকিৎসক ময়নাতদন্ত না করেই মৃতদেহটি পরিবারের লোকদের হাতে তুলে দেয়৷ পরিবারের লোকজনও এলাকারই একটি শ্মশানে কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়৷ ময়নাতদন্ত না করানোর বিষয়টি এবং শিশুর রহস্যজনক মৃত্যুকে মেনে নিতে পারেনি গকুলপুরের গোপাল দে পাড়ার লোকজন৷ তারা বিষয়টি পুলিশকে জানান৷ সাথে সাথেই পুলিশ শ্মশানে ছুটে যায় এবং মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ এদিকে, এলাকাবাসীর আশঙ্কা যেহেতু দিপাঞ্জনার জন্মের পর থেকেই তাদের পরিবারে অশান্তি চলছিল তাই হয়তো দিপাঞ্জনার পরিবারের কেউ পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে৷ কারণ, একের পর এক কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ার বিষয়টিকে মেনে নিতে পারছিল না স্বপন দেবনাথ ও তার পরিবার৷ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই বলা যাবে আসলে ঐ শিশুর মৃত্যু কিভাবে হয়েছে৷ তবে, শিশুটির নাকের কাছে তাজা রক্তের দাগও ছিল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *