BRAKING NEWS

রাজ্যসভার ভোটে পশ্চিমবঙ্গ শেষ হাসি হাসল তৃণমূলই

কলকাতা, ২৩ মার্চ (হি. স.): প্রত্যাশামত এ রাজ্যের সম্ভাব্য পাঁচ প্রার্থীই জিতলেন রাজ্যসভার ভোটে৷ এঁদের চার জন তৃণমূল কংগ্রেসের৷ এক জন তৃণমূল সমর্থিত কংগ্রেসের৷
এ দিন সন্ধ্যে নামার আগেই আঙ্গুল তুলে হাসিমুখে ইংরেজি ‘ভি’ অক্ষরচিহ্ন দেখিয়ে বিধানসভা ভবন থেকে বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গণনা অবশ্য চলে এর পর ঘন্টাখানেকের ওপর৷ ঘোষিত ফলাফলে সবচেয়ে বেশি ভোট পান তৃণমূল কংগ্রেসের শুভাশিস চক্রবর্তী, ৫৪টি৷ এর পর ওই দলেরই আবির বিশ্বাস ও নাজিমুল হক, ৫২টি করে৷ ওই দলের শান্তনু সেন পান ৫১টি ভোট৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় অভিষেক মনু সিংভিকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। তাঁকে সমর্থন করে তৃণমূল। তিনি পেয়েছেন ৪৭টি ভোট৷ সিংভির বিরুদ্ধে বাম প্রার্থী রবীন দেব পেয়েছেন ৩০টি ভোট৷
এ দিন প্রথমে তৃণমূল থেকে দলীয় বিধায়কদের স্লিপ দেওয়া হয়৷ সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় ৯টা ২৩ মিনিটে৷ প্রথম ভোট দেন আবদুল মান্নান৷ সূত্রের খবর, কার্ড না আনায় ভোট দিতে পারলেন না বাসন্তীর বিধায়ক গোবিন্দ নষ্কর৷ ভোট দেন নি বিজেপি-র তিন জন এবং দুই বাম বিধায়ক৷ তৃণমূল কংগ্রেসের জাকির হোসেন এবং মৃগেন মাইতি- দু’জনের ভোট বাতিল হয়েছে৷
বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় ভোট গণনা | ঘোষিত ফলাফলে জানা যায় সবচেয়ে বেশি ভোট পান তৃণমূল কংগ্রেসের শুভাশিস চক্রবর্তী, ৫৪টি৷ এর পর ওই দলেরই আবির বিশ্বাস ও নাজিমুল হক, ৫২টি করে৷ ওই দলের শান্তনু সেন পান ৫১টি ভোট৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় অভিষেক মনু সিংভিকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। তাঁকে সমর্থন করে তৃণমূল। তিনি পেয়েছেন ৪৭টি ভোট৷
এদিকে বামেরা প্রার্থী করেছিল রবীন দেবকে। প্রথমে এক প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে কথা কিছুটা এগোলেও পরে নানা কারণে আলাদা আলাদা প্রার্থী দেয় দু’দল। আর তারপরই ভবিষ্যতে দু’দলের একযোগে আন্দোলন করা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেয়। একাধিক ইস্যু নিয়ে দু’দলের মধ্যে যে অলিখিত জোট হয়েছিল তা ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করতে শুরু করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। শেষ পর্যন্ত দেখা যায়, তাঁর ঝুলিতে পরেছে ৩০টি ভোট৷
এদিকে অভিষেক মনু সিংভিকে সমর্থন করে কংগ্রেসের প্রতি জোটবার্তা দিয়ে রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী। আর ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে ফের কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের জোট বাঁধার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আজ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কে কোনও চিড় ধরেনি। তবে রাজ্যসভা নির্বাচনে জোট হলে ভালো হত।
সুজনববাবু বলেন, “মানুষের দাবিতে একসঙ্গে লড়াই বহু ক্ষেত্রেই থাকবে। কিন্তু, তার মানে এই নয় কোনও পার্টির নিজস্ব ভূমিকা বিলীন হয়ে যাবে। কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল। তারা যেভাবে মনে করেছে সেভাবেই চলেছে। আমরাও সর্বভারতীয় দল। তবে আমাদের কমন প্রার্থী হলে ভালো হত। সেটা হয়নি। ফলে দুই দলের দুই প্রার্থী হয়েছে। এতে আফশোষ করার কিছুই নেই। বিষয়টা আলোচনার মধ্যে ছিল। হলে ভালো হত। তার মানে এই নয় যে আমাদের সম্পর্কে চিড় ধরে গেল। এখানে চিড় ধরা বা জোড়া লাগার কোনও প্রশ্নই নেই। রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আমরা লড়াই করি। করব। বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেস অনেক সময় আমাদের লড়াইয়ে পাশে থাকে। ভবিষ্যতেও থাকবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *