BRAKING NEWS

যান সন্ত্রাসে নিহত এক, গুরুতর আহত দুই

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম, ২২ মার্চ৷৷ বৃহস্পতিবার বেলা ১.৩০ মিনিটে চড়িলামের পরিমল চৌমুহনী এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে৷ টিআর০১এআর-০৩৯৭ নম্বরের মারুতি ইকো গাড়িটি দ্রুত বেগে উদয়পুর থেকে আগরতলার দিকে আসছিল৷ পরিমল চৌমুহনী জাতীয় সড়কের রাঙ্গাপানীয়া ব্রীজের উপর এসে বাক নিতেই গাড়িটি সড়ক থেকে প্রায় ৩০ হাত নীচে দশটি পাল্টি খেয়ে নদীর চরে গিয়ে পড়ে৷ অল্পের জন্য নদীর জলে পরেনি৷ একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন গাড়িটি সড়কের উপর থেকে পাল্টি খেতে খেতে গিয়ে নদীর চরে পড়েছে৷ এই দৃশ্য থেকে প্রত্যক্ষদশীর হাত এবং পা কাপতে শুরু করেছে৷ উনি প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন এমন ভয়াবহ দৃশ্য উনি জীবনে প্রথম দেখেছেন৷ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে মহুর্তের মধ্যে শত শত লোক জড়ো হয়ে যায়৷ খবর দেওয়া হয় বিশ্রামগঞ্জ অগ্ণি নির্বাপক দপ্তরে৷ ঘটনার প্রায় আধ ঘন্টা পর অগ্ণি নির্বাপক দপ্তরের গাড়ী আসাতে জনগন প্রচন্ড ক্ষেপে যায়৷ উপস্থিত জনতা দৌরে এসে গাড়ী থেকে যাত্রীদের বের করে একজনকে পাঠিয়েছেন বিশ্রামগঞ্জ প্রাথমিক হাসপাতালে৷ বাদ বাকী তিনজনকে পাঠিয়েছেন বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে৷ বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে যাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উনার নাম মলয় শঙ্কর দাসগুপ্ত (৬৬) উনার বাড়ী কলকাতায়৷ উনাকে বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উনাকে মৃত বলে ঘোষণ করেন৷ উনার স্ত্রীও গাড়ীতে ছিল৷ উনার স্ত্রীর নাম কল্যানি দাসগুপ্ত (৫৬)৷ সূত্র মারফত খবর উনারা কলকাতা থেকে আগরতলাতে বেড়াতে এসেছেন৷ উনারা আগরতলার সোনারতরী হোটেল থেকে একজন গাইডকে নিয়ে আজ উদয়পুর গিয়েছিল৷ উদয়পুর ঘুরে তারপর গাইড কে নিয়ে অবাার আগরতলায় হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু চড়িলামের পরিমল চৌমুহনী এলাকায় আসতেই এই বিপত্তি ঘটে৷ এলাকাবাসীর বক্তব্য হল এই জায়গাটা দুর্ঘটনা প্রবন জোন সঙ্গে রাঙ্গাপানীয় নদী, ভয়ানক বিপদ জনক স্থান৷ আজকের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট দাবী তুলছে এই এলাকায় একটি ট্রাফিক পোস্ট স্থাপন করার জন্য৷ গাইড প্রণজিৎ পাল ও গুরুতর আহত হন৷ সংবাদ লেখা পর্যন্ত গাড়ীতে অন্য আর একজন যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি৷

এদিকে, গরু বোঝাই একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে বৃহস্পতিবার সকালে রাস্তারমাথা এলাকায়৷ বুলেরো পিকআপ ভ্যানকে দুর্ঘটনায় পড়তে দেখে পথচারীরা থানায় খবর দেন৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ পুলিশ গিয়ে দেখতে পায় একটি মাত্র গরু রয়েছে৷ গরুটি মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত৷ গরুটির একটি পায়ের হাড় ভেঙ্গে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গিয়েছে৷ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে বিশালগড় পশু হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ এদিকে, দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটির কোন নম্বর প্লেট ছিল না৷ পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে এটি চুরি করা গাড়ি৷ বুধবার রাতে রানীরবাজার থানাধীন রামকৃষ্ণ দাসের বাড়ী থেকে এই গাড়িটি  চুরি করা হয়েছে৷ রাতের দিকেই গরুটি বিশালগড় সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করার জন্য নিয়ে যেতে হঠাৎ দুর্ঘটনার কবলে পরে গাড়িটি৷ পুলিশ একটি মামলা নিয়েছে৷ খবর লেখা পর্যন্ত গাড়ির চালককে সনাক্ত করতে পারেনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *