সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুককে সতর্ক করল কেন্দ্র

নয়াদিল্লি, ২১ মার্চ (হি.স.) : জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুককে সতর্ক করল কেন্দ্র। তথ্য চুরি, পাচার বা ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কোনওভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হলে ফেসবুকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি ও আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।
ফেসবুকের বিরুদ্ধে তথ্য চুরি বা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। ব্রিটেন ও আমেরিকায় এই নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু ভারতে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে যাওয়াকে অশনি সঙ্কেত হিসাবে দেখছেন অনেকে। রবি শংকর প্রসাদ বলেছেন, ‘ভারত সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সোশ্যাল মিডিয়ায় বাকস্বাধীনতার পক্ষে কেন্দ্র।’ কিন্তু কোনও অসাধু উপায়ে ভারতের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে।’ তবে এখনই ফেসবুকের বিরুদ্ধে কোনওরকম আইনি পদক্ষেপ করছে না কেন্দ্র।
পার্লামেন্ট হাউস কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, কেন্দ্র মুক্ত বক্তব্য, ভাবাবেগ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে। তাই কোনওভাবে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অসাধু উপায়ে দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করলে কড়া শাস্তি পেতে হবে। তিনি এও জানান, ২০ কোটিরও বেশি ভারতবাসী নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করেন। আমেরিকার বাইরে এত বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী কোথাও নেই বলে দাবি মন্ত্রীর। সংস্থার সিইও মার্ক জুকারবার্গকে সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, ‘মিস্টার মার্ক, আপনি মাথায় রাখবেন ভারতের আইনমন্ত্রীর নজরে রয়েছেন আপনি। ফেসবুককে ভারতে স্বাগত জানাচ্ছি, কিন্তু মনে রাখবেন কোনওরকম তথ্য চুরি আমরা বরদাস্ত করব না।’
অন্যদিকে, রবিশঙ্কর প্রসাদের অভিযোগ খারিজ করে পাল্টা তোপ কংগ্রেসের। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য বেআইনি ভাবে হাতিয়ে বিভিন্ন দেশের নির্বাচনী ফলাফলে কলকাঠি নাড়ানোয় অভিযুক্ত সংস্থা কেম্বরিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা। কংগ্রেস ওই তথ্য বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠানকে রাহুল গান্ধীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনেও ফায়দা তুলতে কাজে লাগাতে চায় বলে দাবি করেন রবিশঙ্কর।
পাল্টা কংগ্রেসের কমিউনিকেশনস ইনচার্জ রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, কংগ্রেস বা তার সভাপতি রাহুল গান্ধী, কেউই কখনও লন্ডনের ওই সংস্থাকে নিয়োগ করেনি, তাদের পরিষেবা নেয়নি। বরং বিজেপিই গুজরাট, বিহার ভোটে ওই কোম্পানিকে কাজে লাগিয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *