নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ মার্চ৷৷ সারা রাজ্যে ব্যাপক হারে গাঁজা বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে৷ পুলিশ ছাড়াও আধা সামরিক বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে এই কাজে লাগানো হয়েছে৷ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় গত দুই দশকে অবৈধ গাঁজা চাষের ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে৷ ত্রিপুরায় উৎপাদিত গাঁজা দেশের অন্যান্য প্রান্ত, এমকি বিদেশেও রপ্তানি হওয়ার প্রমাণ মিলেছে৷ রাজ্য থেকে বের হওয়ার প্রতিটি যোগাযোগের মাধ্যমকেই গাঁজা কারবারিরা ব্যবহার করে আসছিল৷
রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর গাঁজা বিরোধী অভিযান জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই কাজে পুলিশ ছাড়া্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের লাগানো হচ্ছে৷ একই সঙ্গে জেলা ও মহকুমা প্রশাসনও এক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে৷ সম্প্রতি গোপন খবরের ভিত্তিতে ২৬১ কেজি গাঁজা আটক করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী৷ এগুলির বাজারমূল্য প্রায় তেল লক্ষ টাকা৷ রাজধানী এয়ারপোর্ট থানার অধীন সভোর কলোনী এলাকার জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এই প্রচুর পরিমাণের গাঁজা৷ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১২০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের অ্যাসিস্টেন্ট কমান্ডেন্ট পঙ্কজ মিশ্র, মোহনপুর মহকুমার আবগারি আধিকারীক সনত দেওয়ান, ডিসিএম পামেলা সাহার নেতৃত্বে বিএসএফ তল্লাশি চালিয়ে মোট ষোল বস্তা গাঁজা উদ্ধার করেছে৷
প্রসঙ্গত, বাম জমানায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে গাঁজা চাষ করা হতো৷ এই ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে তেমন কোন কার্য্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি৷ মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালানো হত৷ অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে যে, একাংশ থানাকে ম্যানেজ করে গাঁজা বাগিচা গড়ে তুলেছিল গাঁজা মাফিয়ারা৷ বনাবনি না হলেই পুলিশ সক্রিয় হত৷