BRAKING NEWS

বিধানসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন জনপ্রতিনিধিরা, বিরোধীদের সহযোগিতা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ মার্চ৷৷ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী জনপ্রতিনিধিগণ বৃহস্পতিবার দ্বাদশ ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন৷ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার রতন চক্রবর্তী৷ বিধানসভার অধিবেশন কক্ষে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য হিসেবে আজ ৫৮ জন সদস্য শপথ গ্রহণ করেন৷ তাতে রয়েছেন বর্তমান ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও৷ আগামীকাল যীষ্ণু দেববর্মণ শপথ নেবেন৷ এদিকে, রাজ্যের উন্নয়নে বিরোধী দলের সদস্যদেরও সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

এদিন শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সহ মন্ত্রিসভার সদস্য নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা, রতনলাল নাথ, সুদীপ রায় বর্মণ, প্রণজিৎ সিংহ রায়, মনোজ কান্তি দেব, মেবার কুমার জমাতিয়া এবং সান্তনা চাকমা৷

এছাড়াও বিধানসভার সদস্য হিসেবে একে একে শপথ গ্রহণ করেন বৃষকেতু দেববর্মা, কৃষ্ণধন দাস, ডাঃ দিলীপ কুমার দাস, সুরজিৎ দত্ত, সুশান্ত চৌধুরী, ধীরেন্দ্র দেববর্মা, মানিক সরকার, রেবতী মোহন দাস, দিলীপ সরকার, নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরী, ভানুলাল সাহা, বীরেন্দ্র কিশোর দেববর্মা, রামপ্রসাদ পাল, সহিদ চৌধুরী, সুভাষ চন্দ্র দাস, শ্যামল চক্রবর্তী, প্রশান্ত দেববর্মা, নির্মল বিশ্বাস, পিনাকী দাস চৌধুরী, কল্যানী রায়, ডাঃ অতুল দেববর্মা, রামপদ জমাতিয়া, বিপ্লব কুমার ঘোষ, রতন কুমার ভৌমিক, সুধন দাস, অরুণ চন্দ্র ভৌমিক, প্রমোদ রিয়াং, বাদল চৌধুরী, যশবীর ত্রিপুরা, প্রভাত চৌধুরী, শঙ্কর রায়, সিন্ধু চন্দ্র জমাতিয়া, রণজিৎ দাস, বুরবো মোহন ত্রিপুরা, ধনঞ্জয় ত্রিপুরা, আশীষ দাস, পরিমল দেববর্মা, দিবাচন্দ্র রাংখল, শম্ভুলাল চাকমা, ভগবান দাস, সুধাংশু দাস, তপন চক্রবর্তী, মবস্বর আলী, ইসলাম উদ্দিন, বিজিতা নাথ, বিশ্ববন্ধু সেন, রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, বিনয়ভূষণ দাস, প্রেমকুমার রিয়াং ও আশীষ কুমার সাহা৷

এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ট্রেজারি এবং বিরোধী বেঞ্চের বিধায়কদের মধ্যে অনেককেই একে অপরের মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময় করতে দেখা গেছে৷ রামপদ জমাতিয়া হিন্দিতে শপথবাক্য পাঠ করেছেন৷

এদিকে, বিরোধী দলের সদস্যদের কাছ থেকে গঠনমূলক পরামর্শ এবং জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিতে সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব৷ একই সঙ্গে শাসকদলের তরফে সৌজন্যতা বজায় রাখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি৷ বিধানসভা সদস্যদের শপথগ্রহণের পর লবিতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্ণের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, গণতন্ত্রে বিরোধী পক্ষের বড় ভূমিকা রয়েছে৷ আর বিরোধী দলের সদস্যরা অবশ্যই তাঁদের গঠনমূলক দায়িত্ব পালন করবেন৷ রাজ্যের উন্নয়নের বিরোধী দলেরও একটি বড় ভূমিকা রয়েছে৷ সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া এবং ক্রটি-বিচ্যুতি হলে তা ধরিয়ে দিতে হবে৷

তাঁর কথায়, একসময় বিধানসভায় বিরোধী দলের কোনও সদস্যই বিজেপির ছিলেন না৷ বিজেপি বাইরে থেকে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে৷ পরে ছয় বিধায়ক এবং রতনলাল নাথ এই দায়িত্ব পালন করেছেন৷ এখন বিজেপি শাসকদল৷ শাসকদলের তরফে শিষ্টাচার বজায় রেখে চলা হবে৷ জনগণের রায় মাথা পেতে নিয়ে উভয় পক্ষের সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে৷ রাজ্যের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সকলের অংশগ্রহণ বিশেষ প্রয়োজন৷

অপর এক প্রশ্ণের উত্তরে তিনি বলেন, কাজে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন আছে ঠিকই, কিন্তু অভিজ্ঞতাই বড় বিষয় নয়, ইচ্ছাশক্তিই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ তাই নরেন্দ্র মোদী প্রথম সাংসদ হয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন৷ আর তিনি শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী৷ অভিজ্ঞরা অনেক সময়ই নেতিবাচক কার্যকলাপে নিজেদের জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু অনভিজ্ঞরা নেতিবাচক কাজে স্বাভাবিকভাবে বিরত থাকেন৷

উল্লেখ করা যেতে পারে, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের সঙ্গে আরও আগেই সাক্ষাৎ করে সরকার পরিচালনায় তাঁর সহযোগিতা কামনা করেন৷ বৃহস্পতিবার বিধানসভার লবিতেও তিনি দীর্ঘক্ষণ বিরোধী দলের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *