BRAKING NEWS

উত্তাল হাইলাকান্দির কচুরতল, মিজো-দখলদারীর সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ

গুয়াহাটি, ১২ মার্চ (হি.স.) : হাইলাকান্দির কাঠলিছড়া এলাকার আন্তঃরাজ্য সীমান্ত এলাকা অসমের কচুরতলের পরিস্থিতি আজ ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে। শনিবার পড়শি দুই রাজ্য সরকারের কাছে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল নিজে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলার সঙ্গে কথা বলে উন্মত্ত সংগঠনগুলির সদস্যদের ক্ষান্ত করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। মিজো মুখ্যমন্ত্রী সে ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও আজ সোমবার ভোরের দিকে আরও বলীয়ান হয়ে হাতে হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে ফের শতাধিক মিজো উন্মত্ত যুবক কচুরথতলে এসে নির্মাণকার্য শুরু করে। ফলে তাদের বাধা দিতে যায় নিয়োজিত অসম পুলিশ ও সিআরপিএফ। বেঁধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। এই খবর লেখা পর্যন্ত মিজোদের সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে খণ্ডযুদ্ধ চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঢিল ছোঁড়া. লাঠি নিয়ে তেড়ে নিরাপত্তারক্ষীের ওপর ঝাঁপাচ্ছে মিজো বেদখলদারীরা।
গত শনিবার, অসমের জমি দখল করতে আগত মারমুখি কয়েকটি মিজো সংগঠনের আগ্রাসনকারীদের তাড়াতে অসম পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ এবং পরে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। এতে বেশ কয়েকজন মিজো বেদখলদার জখম হয়েছিল। উন্মত্ত মিজো হানাদারেরা অসমবাসীর তিনটি বসতঘর ভস্ম করে দিয়েছিল। প্রতিশোধপরায়ণ ক্ষুব্ধ অসমের জনতা মিজোদের অবৈধভাবে নির্মিত ছাউনি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন।
এদিকে অসম ভূখণ্ডের মানুষজন গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন গত দুদিন আগে। উল্লেখ্য, অসমের ভূমি দখল করতে গত প্রায় দশদিন ধরে হামলা করছে মিজোরামের বেসরকারি কয়েকটি সংগঠন মিজো জারোলাই পল, ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন, মিজো মিশে ইনখাওন পল, জরাম উপা পল-এর নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সংগঠনের শতাধিক যুবক এসে কচুরতলে নির্মাণকাজ শুরু করে দেয়। তারা কয়েকটি টাটা সুমো, মিনি ট্রাকের নির্মাণ সরঞ্জাম নিয়ে আসা-যাওয়া করছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ থেকে হাইলাকান্দি জেলা প্রশাসন ভৈরবীর সীমান্তবর্তী বৃহত্তর কচুরতল এলাকায় ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা বলবৎ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *