BRAKING NEWS

অযোধ্যায় নিশ্চিত ভাবে রাম মন্দির তৈরি হবে : ভাইয়াজি

নাগপুর, ১১ মার্চ (হি.স.):অযোধ্যায় নিশ্চিত ভাবে রাম মন্দির তৈরি হবে | শনিবার চতুর্থবারের জন্য রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকার্যবাহ মনোনিত হওয়ার পর রবিবার এমনটাই দাবি করলেন সুরেশ যোশী ওরফে ভাইয়াজি | তিনি বলেন, অযোধ্যায় নিশ্চিত ভাবে রাম মন্দির নির্মাণ করা হবে। ওখানে মন্দির ছাড়া অন্য কোনও কিছুই তৈরি হবে না। মন্দির তৈরি করতে গেলে প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তা করতে হবে।
নাগপুরে ডা. হেডগেওয়াড় স্মৃতি মন্দিরে তিন ধরে চলা অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা বৈঠকের শেষ দিনে রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ ডা. মনমোহন বৈদ্য এবং সহ-প্রচার প্রমুখ নরেন্দ্রকুমার ঠাকুর । রাম মন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গে শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের মাধ্যমে প্রয়াসের বিষয়ে জানতে চাইলে সরকার্যবাহ ভাইয়াজি জানিয়েছেন, অযোধ্যায় নিশ্চিত ভাবে রাম মন্দির নির্মাণ হবে। অন্য দ্বিতীয় কোনও কিছু নির্মাণ হতেই পারে না। কিন্তু এর জন্য বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আদালতের রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছি। দেশে বিভিন্ন চিন্তাধারার মানুষ বসবাস করেন । তাদের সবাইকে একত্রিত করে কোনও ঐক্যমতে পৌঁছনো সহজ হবে না। গোটা সমাজকে একত্রিত করা কঠিন কাজ। যদি ঐক্য মতের ভিত্তিতে কোনও সিধান্তে পৌঁছনো যায় তবে তাকে আমরা স্বাগত জানাবো। এখন আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছি।
উত্তরপূর্বে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভাইয়াজি বলেন, উত্তরপূর্বে বিজেপির জয়ের পেছনে কেবল সঙ্ঘ প্রচারকদের অবদান রয়েছে, এমনটা বলা উচিত হবে না। ওখানকার জনতা বিজেপির প্রতি ভরসা করেছে। কারোর জন্য কারোর উৎকর্ষতা হয় না। সবাই নিজের মার্গ প্রসস্থ করতে ব্যস্ত। ওখানে ক্ষমতার পরিবর্তনের পেছনে জনতার ভূমিকা সব চাইতে বেশি।
আরএসএস-এর সংগঠন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার সময় থেকে আজ পর্যন্ত সঙ্ঘ সমাজে স্বীকৃত, যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছ | তিনি আরও বলেন, সঙ্ঘের মত সংগঠন জনআন্দোলনের মধ্যে প্রসারিত হয় না |এটা লাগাতার প্রক্রিয়া | বর্তমানে ৬০ হাজার স্থানে ৮০ হাজার কার্যালয়ের মাধ্যমে কাজ করছেন সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা |যার প্রতিফলন ঘটছে সমাজে | বর্তমানে সঙ্ঘ সন্তোষজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছে গেছে | তবে এখানেই শেষ নয় | ভবিষ্যতে এর আরও প্রসার ঘটবে এমনটাই আশা প্রকাশ করেন ভাইয়াজি |
মাঝে মধ্যেই বিশ্বহিন্দু পরিষদ ও ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের মত সংগঠনগুলির সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের মত বিরোধ প্রকাশ্যে আসে | এদিন তা নিয়ে ভাইয়াজিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সঙ্ঘ পরিবারের পৃথক পৃথক সংগঠনগুলি আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে সমাজে কাজ করে | পাশাপাশি ক্ষমতায় থেকে বিজেপিরও সমাজে নিজেদের কিছু ভুমিকা ও মর্যাদা আছে |যদি কিছু বিষয় নিয়ে দুই পরিবারিক সংগঠনের মধ্যে মতের পার্থক্য তৈরি হয় তবে তাকে একে অপরের বিরোধী বলা যাবে না | এটা এক পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্কের মত | এখানে মতের পার্থক্য হতে পারে মনের নয় |
সদ্য শেষ হওয়া ত্রিপুরায় হিংসাত্মক ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সরকার্যবাহ সুরেশ যোশী লেনিনের মূর্তি ও ডা. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, লেনিনের মূর্তি ও ডা. শ্যামা প্রসাদ মুখার্জির মূর্তি ভাঙার চেষ্ঠা করা চিন্তার বিষয় | এই ঘটনাগুলি সমাজে বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতাকে আরও উসকে দেওয়ার কাজ করছে | সঙ্ঘ এই ধরনের সব ঘটনার নিন্দা করছে |
এদিন তিনি সরকার ও সংবাদ মাধ্যমকে আরও সংবেদনশীল হওয়ার আবেদন করে বলেন, কৃষকদের অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে | কৃষকদের অবস্থা বুঝে সরকাররের উচিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন |কৃষকদের প্রতি সরকারের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পাওয়া উচিত বলে জানান ভাইয়াজি | তিনি বলেন, কেরলে খাওয়ার জন্য এক মুঠো চাল নেওয়া গরিব শ্রমিককে মারধর নিয়ে সংবাদ মাধ্যম তেমন প্রাধান্য দেয়নি যতটা দেওয়া উচিত ছিল | সংবাদ মাধ্যমকে রাজনীতি খবরের পাশাপাশি এই ধরনের ঘটনাগুলি নিয়ে সংবেদনশীল হতে হবে বলেই জোর দেন ভাইয়াজি যোশী|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *