রাজকোট, ২ মার্চ (হি.স.) : গুজরাটে দলিত যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ। অভিযুক্তরা ধরা না পড়ায় দেহ নিতে অস্বীকার নিহত যুবকের পরিবারের। অভিযোগ, ভরত গোয়েল নামে বছর ২৩-এর ওই যুবককে গাড়ির মধ্যে আটকে রেখে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গত পাঁচদিন ধরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই যুবক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা এখনও অধরা। পুরনো গাড়ি কেনা নিয়ে বচসার জেরে খুন কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজকোট সিভিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েকদিন চিকিৎসা চলার পর বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ওই খবর ছড়াতেই গোটা দেশ জুড়ে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। জানা গিয়েছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজকোটের বেরাভাল তালুকা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ভরত গোয়েল নামে ওই যুবক। কিন্তু মাঝ রাস্তায় ভরতের পথ আটকায় আহির সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন। গাড়ির ভেতর থেকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ির মধ্যে থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও প্রথমে নিস্তার পাননি ভরত। কিন্তু ভরত সেখান থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। বোমার আঘাতে ভরত মাটিতে পড়ে গেলে দেশলাই দিয়ে তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর।
ওই সময় ৪ জন একযোগে ভরতের গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে ভরতকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বেরাভাল হাসপতালে ভর্তি করেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু বেরাভাল হাসপতালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে স্থানান্তরিত করা হয় রাজকোট সিভিক হাসপতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এরপর থেকেই জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কিন্তু, দোষীরা ধরা না পড়া পর্যন্ত ভরতের দেহ সৎকার করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে তাঁর পরিবার। পাশাপাশি ভরতের চিকিৎসা হাসপাতাল গাফিলতি করেছে বলেও অভিযোগে সরব হয়েছে তাঁর পরিবার।