BRAKING NEWS

নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় মুখ্য ভূমিকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ ফেব্রুয়ারি৷৷ রাজ্যের ক্রমাগত রাজনৈতিক সন্ত্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিশের মহা

শুক্রবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি এ কে শুক্লা (ডানে) এবং সিএপিএফ এর নোডাল অফিসার ভি কে রায় (বাঁয়ে)৷ ছবি নিজস্ব৷

নির্দেশক কড়া বার্তা দিয়েছেন৷ একই সঙ্গে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) এক ডিআইজিকে সশস্ত্র বাহিনীর মোতায়েন, পরিচালনা এবং তাদের ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ফলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীই মুখ্য ভূমিকা নেবে৷

রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অখিল কুমার শুল্ক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোট৷ নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনও ধরণের উশৃঙ্খল আচরণকারীদের কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা৷ সমগ্র রাজ্যে উপযুক্ত সংখ্যক সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে৷ আইনকে নিজের হাতে নিলে, সে যে কেউই হোক সুরক্ষা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে৷ আইন ভঙ্গ কারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই নেওয়া হবে৷

তিনি বলেন, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ রাখার জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা হয়েছে৷ অস্বাভাবিক কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কিংবা অবাঞ্চিত কোন ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ সেখানে ছুটে যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে৷ সুরক্ষা বাহিনী সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে৷ আর এর পরিপন্থী কোন কাজ করলে পুলিশ কর্মী কিংবা আধিকারিকদেরও রেহাই দেওয়া হবেনা৷ তাঁর কথায়, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবেই নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হবে৷

তিনি জানান, সাধারণ মানুষ যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি দেখামাত্র ১৫১০৩ টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানালে কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্রুত সেখানে ছুটে যাবে৷ রাজ্যে কর্মরত সমস্ত সুরক্ষা বাহিনীগুলিকে সতর্ক রাখা হয়েছে৷ সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী ইতিমধ্যেই ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত সিল করে দিয়েছে৷ একই সঙ্গে অসম ও মিজোরামের সঙ্গে আন্তঃরাজ্য সীমান্তের উভয় দিকে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে এবং আগরতলায় প্রবেশের প্রত্যেকটি পথে যান বাহন চ্যাকিং করা হচ্ছে৷

এদিন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বলেন, নির্বাচনের সরব প্রচার শেষ হওয়ার পর বহিরাগতদের থাকতে দেওয়া হবে না৷ তবে কেন তারা রাজ্যে এসেছেন এবং রাজ্যের আসার কারণ যাচাইয়ের পরই তাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ সুনিশ্চিত করা হবে কোন নির্দিষ্ট ভোট কেন্দ্রের বাইরের লোক যাতে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচনী কাজকে প্রভাবিত করতে না পারে৷ তাঁর কথায়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমস্ত হোটেল এবং লজগুলিতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে৷ তবে পুলিস মহানির্দেশকের সঙ্গে উপস্থিত সিআরপিএফ’র এক আধিকারিকের সঙ্গে পরিচয় করে দিয়ে পুলিশ মহানির্দেশক বলেন, সিআরপিএফ ডিআইজি বিজয় কুমার রাই সশস্ত্র বাহিনীর নোডাল অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন৷ রাজ্যে পুলিশের সমস্ত সশস্ত্র বাহিনী এবং বহিঃরাজ্য থেকে আগত কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন, ব্যবহার এবং দায়িত্ব পালন ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে তাদের যাবতীয় দায় দায়িত্ব তিনিই পালন করবেন৷ নির্বাচনী কাজের নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব সিআরপিএফ’র ডিআইজির কাছেই থাকছে৷

রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক এদিন সাংবাদিকদের অতিরিক্ত কোন প্রশ্ণেরই সরাসরি কোন উত্তর দেননি এবং সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত বিষয়গুলি থেকে নিজেকে সম দূরত্বে রাখার চেষ্টা করেন৷ তবে এত দিন ধরে কেন পুলিশকে নিরপেক্ষ রাখা হলনা, এই প্রশ্ণের উত্তরে পুলিস মহানির্দেশক বলেন, চেষ্টা হয়েছে৷ অভিযোগ পাওয়া মাত্র অভিযোগরে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ এখন সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ সিআরপিএফকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ নিরপেক্ষতা বজায় না রাখলে কর্তৃপক্ষ যেকোনো আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *