BRAKING NEWS

আগরতলায় অবস্থান করেও চোত্তাখলায় মৈত্রী উদ্যানের উদ্বোধনে ব্রাত্য বাংলাদেশের মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্যে এসেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহম্মদ নাসিম, এমপি৷ অথচ, চোত্তাখলায় ভারত-বাংলাদেশ

বীজয় দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার রাজ্যে এসেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহম্মদ নাসিম, এমপি৷ ছবি নিজস্ব৷

মৈত্রী উদ্যানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত নন৷ মূলত, বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে আগরতলায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে তিনি আজ এসেছেন৷ বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধকে কেন্দ্র করে চোত্তাখলায় গড়ে উঠেছে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যান৷ কিন্তু, এই মৈত্রী উদ্যানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সে দেশের সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যে থেকেও অংশগ্রহণ করছেননা, এই বিষয়টিকে ঘিরে রাজ্য সরকারের সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় মিলেছে বলে মনে করছেন তথ্যভিজ্ঞ মহল৷
ইতিপূর্বে তথ্য ও সংসৃকতি মন্ত্রী ভানুলাল সাহা এবং রাজস্ব মন্ত্রী বাদল চৌধুরী জানিয়েছিলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সহ সকল মন্ত্রিরাই সেখানে ব্যস্ত থাকবেন৷ তাই, মৈত্রী উদ্যানের উদ্বোধনে বাংলাদেশ থেকে কারোর আসা সম্ভব হবে না৷ রাজ্যের তথ্য সংসৃকতি মন্ত্রী এবং রাজস্ব মন্ত্রীর এই দাবি আজ ভুল প্রমাণিত করলেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহম্মদ নাসিম৷
এদিন বিকেলে তিনি সস্ত্রীক আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে আগরতলায় এসেছেন৷ আখাউড়া সীমান্তে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভারত এবং ত্রিপুরার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন৷ মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান তিনি স্মরণ করেছেন৷ বাংলাদেশ চিরকাল ভারত এবং ত্রিপুরার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে, তা তিনি বিনম্রতার সাথে জানিয়েছেন৷ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ত্রিপুরাবাসীকেও তিনি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷
পাশাপাশি তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার সর্বদা ভারতের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ৷ ভারতের সাথে বাণিজ্যিক আদান প্রদান আগামীদিনে দু-দেশের সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে৷ ইতিমধ্যে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানি করছে৷ তাছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ উভয়দেশের পণ্য সামগ্রীর বিরাট বাজার দু-দেশেই রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন৷ তিনি জানান, আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনের উদ্যোগে আগামীকাল আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন৷ জানা গেছে, আগামীকাল সন্ধ্যা ৬ টায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২ নং হলে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে৷ এর আগে আগামীকাল সকালে আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন সেই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ আরো জানা গেছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামীকাল দুপুরে জিবি হাসপাতাল এবং স্টেট মিউজিয়াম পরিদর্শন করবেন৷ ১৭ ডিসেম্বর সকালে তিনি বাংলাদেশ ফিরে যাবেন৷
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তিনদিনের রাজ্য সফরে সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, রাজ্য সরকার মৈত্রী উদ্যানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেবাংলাদেশ সরকারকে আমন্ত্রণ জানালে নিশ্চই তিনি ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন৷ অথচ, রাজ্য সরকার মৈত্রী উদ্যানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারকে আমন্ত্রণ জানানোরও প্রয়োজন বোধ করেনি৷ সমালোচকদের মতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের মুহূর্তে মৈত্রী উদ্যানের কৃতিত্বে বামফ্রন্ট সরকার কাউকেই অংশীদার করতে চায়নি৷ তাই বাংলাদেশ সরকারকে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানায়নি৷ কিন্তু, তাতে বামফ্রন্ট সরকারের সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় মিলেছে বলে মনে করছেন তথ্যভিজ্ঞ মহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *