BRAKING NEWS

আইনসঙ্গত ভাবে ১০৩২৩ জন শিক্ষকের কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতের আশ্বাস বিজেপির

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ ডিসেম্বর৷৷ ১০৩২৩ শিক্ষকদের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি৷ দল মনে করছে, ছয় মাস পর তাঁদের চাকরিচ্যুত হওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত হয়ে গেল৷ আর এরজন্য বামফ্রন্ট সরকারকে দায়ী করেছে বিজেপি৷ বিজেপি-র প্রদেশ মুখপাত্র ডাঃ অশোক সিনহা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ১০৩২৩ শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির ব্যাপারে আদালতের নির্দেশের পর রাজ্যের শাসকদল সিপিআইএম পরিস্কারভাবে বলেছিল এর পেছনে বিরোধী বিজেপি’র ষড়যন্ত্র রয়েছে৷ এখন চাকরির মেয়াদ ছয় মাস বৃদ্ধিতেও ষড়যন্ত্রের কথা তাঁরা বলবেন কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না৷ তবে যাই-ই হোক ছয় মাস বাদে তাঁদের চাকরি থাকছে না৷ আর এই সময়কালের মধ্যে রাজ্যে নতুন সরকার আসবে৷ বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসেই ১০৩২৩ শিক্ষকের কর্মসংস্থানের বিষয়টি আইনসঙ্গত ভাবে সুনিশ্চিত করবে৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের অনৈতিক কার্যকলাপ এবং স্বজনপোষণের কারণে বহু পরিবার আজ হতাশায় ভুগছে৷ রাজ্যের জনগণ এদের ক্ষমা করবে না৷ আগামীদিনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতিমুক্ত একটি প্রশাসন দিতে সক্ষম হবে৷ আইনগতভাবেই এই জটিলতা মেটানো হবে বলেও তিনি জানান৷
রাজ্যের অভূতপূর্ব রাজনৈতিক সন্ত্রাসের নমুনা সামনে এল৷ পরপর কয়েকটি বাড়িতে বাইরের দিকে বন্ধ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো চেষ্টা হয়েছে বুধবার সকালে৷ তবে এলাকাবাসীরা ঘটনার আঁচ করতে পারায় দুসৃকতী-পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে৷ রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিপ্লবকুমার দেব বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, সন্ত্রাসের এত কদর্য চেহারা ইতোপূর্বে লভ করা যায়নি৷ এত বড় ঘটনার পরও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে৷ তিনি বলেন, বুধবার ভোররাতে আচমকা কতিপয় শাসকদলের মদতপুষ্ট সমাজবিরোধী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার জয়নগরে চড়াও হয়৷ তারা সেখানে প্রথমে বেশ কয়েকটি বাড়ির সীমানা ঘিড়ে লাল ঝান্ডা পুতে দেয়৷ এর পর বাড়িগুলি থেকে বের হওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেয়৷ এমন কি ঘরের দরজাও বাইরে দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ এর পর বাড়িগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়৷ কিন্তু এলাকাবাসী টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে অন্যান্য বাড়িগুলির লোকেরা বেরিয়ে আসেন৷ এতে ভয় পেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্করপিও গাড়িতে উঠে দুসৃকতকরীরা দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ তিনি বলেন, এ জাতীয় সন্ত্রাসের নমুনা ইতোপূর্বে কখনোই রাজ্যবাসী লক্ষ করেননি৷ কিন্তু পুলিশ এখনও এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি৷ বিজেপি-র মন্ডল কমিটির কার্যকর্তারা এ ঘটনার পর এলাকায় রাত্রিকালীন প্রহরায় ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ আক্রান্ত বাড়িগুলির সদস্যদের সিপিআইএম এর মিছিলে অংশগ্রহণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তাঁরা তা না করাতেই এই ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছে৷ তিনি উল্লেখ করেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে, রাজ্যের পরিস্থিতি কী পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে৷ অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন এই সব সাধারণ জনগন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *