BRAKING NEWS

অমরনাথ গুহাকে নিঃশব্দ অঞ্চল হিসেবে নির্ধারণ করা হয়নি : গ্রিন ট্রাইব্যুনাল

নয়াদিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর (হি.স.) : অমরনাথ গুহাকে নিঃশব্দ অঞ্চল বা সাইলেন্স জোন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়নি। তুমুল বিক্ষোভের মাঝে বৃহস্পতিবার এমনটা জানিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল বা এনজিটি|
এনজিটি–র চেয়ারপার্সন বিচারপতি স্বতন্ত্র কুমারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন বলেছেন অমরনাথ গুহাকে নিঃশব্দ অঞ্চল বা সাইলেন্স জোন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়নি। তারা শুধু বলেছিল, তুষারলিঙ্গের সামনে নীরবতা পালন করা উচিত পুণ্যার্থীদের।
প্রসঙ্গত, বুধবার এনজিটি ঘোষণা করেছিল অমরনাথ গুহা সাইলেন্স জোন। অমরনাথের গুহায় আর ‘জয়করস’ বলে চীৎকার করা যাবে না। উচ্চারণ করা যাবে না মন্ত্র| এমনকি ঘণ্টাও বাজানো যাবে না।সেজন্য গুহাগর্ভে কাঁসর, ঘণ্টা, খোল, করতাল, শাঁখ বাজানো যাবে না। পুজোর যাবতীয় সামগ্রী গুহার প্রবেশ পথেই পুজোর উদ্দেশ্যে দিয়ে দিতে হবে ভক্তদের। ভিতরে কিছু নিয়ে যাওয়া যাবে না। হিমালয়ে ধস এবং অমরনাথ গুহায় দূষণ রুখতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছিল এনজিটি।
সম্প্রতি অমরনাথ যাত্রার সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে যাত্রীদের সুবিধা ও স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করতে বলেছে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল । নভেম্বরেই ট্রাইব্যুনালের তরফ থেকে বলা হয়, ‘আপনারা রাস্তার ধারে দোকানের অনুমতি দিয়েছেন । অথচ কোনও বাথরুমের বন্দোবস্ত নেই? জানেন এটা মহিলাদের জন্য কতটা অস্বস্তিকর? কেন যাত্রীদের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই?’ যাত্রী সুবিধার থেকে বেশি ব্যবসায় জোর দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে আদালত।
পরিবেশবিদ গৌরী মৌলেখি এনজিটি–র সিদ্ধান্তকে বুধবার স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, হিমালয়ের দুর্গম পরিবেশে অবস্থিত অমরনাথ গুহা। এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধু পরিবেশ রক্ষাই নয়, তুষারলিঙ্গ এবং গুহার গর্ভগৃহও সুরক্ষিত থাকবে। কিন্তু গ্রিন বেঞ্চের নির্দেশের পরই বিক্ষোভে নামে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। ভিএইচপি–র সদস্যরা বলেন, পৃথিবীর যাবতীয় পরিবেশ সমস্যার জন্য হিন্দুরা দায়ী হতে পারে না। হিন্দু সংগঠনগুলি সরব হতেই বৃহস্পতিবার এনজিটি–র চেয়ারপার্সন বিচারপতি স্বতন্ত্র কুমারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এদিন বলেছেন অমরনাথ গুহাকে নিঃশব্দ অঞ্চল বা সাইলেন্স জোন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়নি। তারা শুধু বলেছিল, তুষারলিঙ্গের সামনে নীরবতা পালন করা উচিত পুণ্যার্থীদের।
উল্লেখ্য, হিমালয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরে অবস্থিত অমরনাথের রাস্তা বছরের অধিকাংশ সময়ই তুষারাবৃত থাকে। জুলাই থেকে আগস্টের মাঝামাঝি, বছরের একটি সময়ই শুধু অমরনাথ যাত্রা হয়। শিবপুরাণে কথিত আছে, এই গুহাতেই তুষারলিঙ্গের সামনে দীর্ঘ দিন কঠোর তপস্যা করে শিবকে স্বামীরূপে পেয়েছিলেন গিরিরাজকন্যা পার্বতী। আবার এই গুহাতেই শিব–পার্বতীর মিলনে জন্মেছিলেন তাঁদের জেষ্ঠ্যপুত্র দেবসেনাপতি কার্তিকেয়। সেজন্যই হিন্দু ধর্মের অন্যতম তীর্থস্থান অমরনাথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *