BRAKING NEWS

চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের মেয়াদ বৃদ্ধি ও নতুন পদ নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে

মামলার পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর৷৷ চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের চাকুরীর মেয়াদ বাড়ানো, আদালত অবমাননা এবং চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে স্নাতক শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দায়ের করা আবেদন সবকটি সুপ্রিমকোর্টে শুনানি হয়েছে সোমবার৷ কিন্তু, কোন মামলা এবং আবেদনের উপর এদিন শুনানি সম্পন্ন হয়নি৷ সুপ্রিমকোর্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ১৪ ডিসেম্বর৷
এদিন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি আদর্শ কুমার গোয়েল এবং বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চে ঐ মামলা এবং আবেদনগুলির উপর শুনানি হয়েছে৷ রাজ্যে ৩১ ডিসেম্বরের পর শিক্ষক স্বল্পতা দেখাদেবে, তাই ১০৩২৩ জন চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের চাকুরীর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন সুপ্রিমকোর্টে জানিয়েছে রাজ্য সরকার৷ এদিকে ১২০০০ অশিক্ষক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে৷ তাছাড়া, চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে স্নাতক শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও একটি আবেদন সুপ্রিমকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে৷ স্নাতক শিক্ষকরা সুপ্রিমকোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাকিল করার অনুমতি চেয়ে এই আবেদন করেছেন৷ সোমবার সবকটির শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে৷ এবিষয়ে এদিন সন্ধ্যায় মহাকরণে শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি এবং অশিক্ষক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাটি সুপ্রিমকোর্টে শুনানি হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল এবং বরিষ্ঠ আইনজীবীরা মামলার বিষয়ে ভালো সওয়াল করেছেন৷ এদিন, মামলাকারীরা সময় চেয়েছিলেন৷ তাই সুপ্রিমকোর্ট পরবর্তী শুনানি ১৪ ডিসেম্বর ধার্য করেছে৷
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি এবং অশিক্ষক পদে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি আদালতে তুলে ধরা হয়েছে৷ তাতে ইতিবাচক ফল মিলবে বলে শিক্ষামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টে বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷ ৩১ ডিসেম্বরের পর সারারাজ্যে শিক্ষক স্বল্পতা মারাত্মক ভাবে দেখাদেবে৷ তাতে রাজ্যের সুকল গুলি পরিচালনায় মুসকিল হবে৷ তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্ট ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকুরীচ্যুতির রায় ঘোষণার পর প্রথম ধাপে টিআরবিটি’র মাধ্যমে ১৯২০ জন শিক্ষক পাওয়া গেছে৷ ফলে ৩১ ডিসেম্বরের পর বিরাট সংখ্যক শিক্ষকের ঘাটতি পূরণ করা রাজ্যের পক্ষ্যে সম্ভব হবে না৷ তাছাড়া, ১২০০০ অশিক্ষক পদের সাথে এই মামলা কোন সম্পর্ক নেই বলে সুপ্রিম কোর্টে যুক্তি তুলে ধরেন রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবীরা৷ পাশাপাশি আদালতের কাছে আবেদন জানান, অশিক্ষক পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলে দেওয়ার জন্য৷ অবশ্য আদালত অশিক্ষক পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলে দেয়নি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *