BRAKING NEWS

ওঁরা কি রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, প্রশ্ণ শিক্ষামন্ত্রীর

প্রসঙ্গ চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের একাংশের আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর৷৷ চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের একাংশের আন্দোলনে ভীষণভাবে চটেছেন শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী৷ ওঁরা কি রাজ্যবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, সেই প্রশ্ণও তিনি তুলেছেন৷ চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি হলে যারা তা মানবেন না সেটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত হবে৷ তাতে রাজ্য সরকারের কোন কিছুই করার নেই৷ সোমবার মহাকরণে এইভাবেই আন্দোলনকারী চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী৷ এরই সাথে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, জনদুর্ভোগ তৈরি করে অবরোধ আন্দোলন কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না৷
এদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রাজ্য সরকারের কোন আপত্তি নেই৷ ঐ ধরণের আন্দোলনে কখনই রাজ্য সরকার বাঁধা দেয়না৷ কিন্তু, আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ বরদাস্ত করা যায়না৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেদিন অবরোধ আন্দোলনের জেরে অনেকে ব্যাঙ্কের পরীক্ষা দিতে পারেননি৷ পন্যবোঝাই বহু ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে৷ এমনকি গুরুত্বপূর্ণ রাজধানী এক্সপ্রেস আগরতলায় আসতে পারেনি৷ তাতে, বহু যাত্রী সমস্যায় পড়েছেন৷
শিক্ষামন্ত্রী এদিন প্রশ্ণ তোলে জানতে চান, ওঁরা কি রাজ্যের ৩৯ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন৷ তাঁর সাফ কথা, এধরণের আন্দোলন সমর্থন করতে পারছিনা৷ এদিকে, চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের একাংশ তাঁদের চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি হলেও তাতে তাঁরা সন্তুষ্ট হবেন না বলে জানিয়েছিলেন৷ এমনকি তাঁরা সেই রায় মেনেও নেবেন না৷
এবিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা চাকুরী বৃদ্ধির রায় মানবেন না তাদের বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোন কিছু করার নেই৷ শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, চাকুরীচ্যুত শিক্ষকদের ছোট্ট অংশ আন্দোলনের নামে হটকারিতা করছেন৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকার তাঁদের কথা চিন্তা করে সব রকমের চেষ্টা চালিয়েছে৷ তাঁদের জন্যই সুপ্রিমকোর্টে দরবার করা হচ্ছে৷ কিন্তু, আইনের উর্দ্ধে গিয়ে কোন কিছুই রাজ্য সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দল সহায়তা করছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর মতে, অবরোধ তুলে দিতে বল প্রয়োগে তাঁরাই বাধ্য করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *