আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে সপ্তম শ্রেণীতে মণিপুরী ভাষায় শিক্ষাদানের সুযোগ সম্প্রসারণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ নভেম্বর৷৷ রাজ্য সরকারি মণিপুরী জনগোষ্ঠীর ছাত্রছাত্রীদের নিজের মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করছেন৷ ২০১২ সালে ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা অধিকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ আজ সন্ধ্যায় শিক্ষা ভবনের ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষা অধিকারের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে দপ্তরের অধিকর্তা সুবল দেববর্মা একথা বলেন৷ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ককবরক সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষার মতো মণিপুরী ভাষার বিকাশেও এই দপ্তর কাজ করছে৷ বর্তমানে রাজ্যে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত মণিপুরী ভাষায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা রয়েছে৷ ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যে সপ্তম শ্রেণীতে মণিপুরী ভাষায় শিক্ষাদানের সুযোগ সম্প্রসারিত করা হবে৷ পরবর্তী সময়ে প্রতিবছর পর্যায়ক্রমে অষ্টম, নবম ও দশম অর্থাৎ মাধ্যমিক স্তর ও উচ্চস্তরে মণিপুরী ভাষার পড়াশুনা করার সুযোগ তৈরী করার চেষ্টা করা হবে৷ ককবরক ও অন্যান্য সংখ্যালঘু ভাষার দপ্তরের অধিকর্তা সুবল দেববর্মা এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য মণিপুরী ভাষার লেখক, কবি ও উপন্যাসিকদের প্রতি অনুরোধ জানান৷
সাংবাদিক সম্মেলনে দপ্তরের উপ অধিকর্তা পিন্টু দাস জানান, রাজ্যে বর্তমানে ২৩টি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত মণিপুরী ভাষায় পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে৷ এরমধ্যে ২টি জে বি সুকছঞ্ছেল, ৮টি এস বি সুকল, ৪টি হাইসুকল এবং ৯টি এইচ এস সুকল৷ তিনি জানান, ১৯৭৯ সালে মণিপুরী ভাষায় চমথাং নামে প্রথম একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয় এস সি ই আর টি-র উদ্যোগে৷ সেই বছরই তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের উদ্যোগে মণিপুরী ভাষায় ত্রিপুরা চে নামে প্রথম একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়৷ সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয় ১৯৯৮ সালে এস সি ই আর টি থেকে মণিপুরী ভাষায় প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর জন্য পাঠ্যপুস্তক তখেল্লৈ প্রকাশিত হয়৷ ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয় মণিপুরী ভাষায় ব্যাকরণ বই৷ সাংবাদিক সম্মেলনে দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তা চিত্ত দেববর্মা ও এস ডি সুশান্ত দেববর্মা ও গভেষণা আধিকারিক নির্মাল্য ভট্টাচার্য্য উপস্থিত ছিলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *