BRAKING NEWS

কমলসাগরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে তেলিয়ামুড়ায় খুলেনি দোকা, চলেনি গাড়ি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কমলাসাগর, ২৩ নভেম্বর৷৷ সাংবাদিক হত্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিজেপি’র ডাকা ত্রিপুরা ১২ ঘন্টা বনধে যদিও কিছু অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি৷ কিন্তু কিছু কিছু জায়গাতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল৷ কমলাসাগর বিধানসভাস্থীত মতিনগর দ্বাদশ শ্রেণীর বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষককের উপর পাশাপাশি অত্যাচার পরিলক্ষিত হয়৷ জানা বিদ্যালয়ের শিক্ষক রসুল মিঞা উপর এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়৷ মতিনগর বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মিডডে মিল রান্নার প্রস্তুতি চলছিল৷ এমন সময় মতিনগর এলাকার কিছু বিজেপি’র কর্মীরা বাইক নিয়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন যুবক সুকলের ভিতরে ডুকে পরে৷ মিডডে মিল রান্না কাজ বন্ধ করার জন্য বলে৷ তখন বিদ্যালয়ের শিক্ষক রসুল মিঞা ঘটনাস্থলে আসে কিছু বলতে চাইলে শিক্ষক মহাশয়কে অকথ্য ভাষায় ব্যাবহার করে৷ এই থেকে সূত্রপাত শুরু হয়ে পরে হাতাহাতি ও মারা মারির রোপ নেয়৷ তখন শিক্ষক মার খেয়ে বিদ্যালয় বন্ধ করে চলে যেতে বাধ্য হয়৷ অন্যদিকে কমলাসাগর পঞ্চায়েতের ভিতরে পঞ্চায়েত সঠিক কাজ কর্ম করতে থাকলে তখন খবর পেয়ে ছুটে এই এলাকার কিছু বিজেপির কর্মীরা৷ পঞ্চায়েতের সামনে এসে বিজেপি কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে অবশেষে পঞ্চায়েত সঠিক পঞ্চায়েত তালা বন্ধ করে চলে যায়৷ কমলাসাগর এলাকার সমস্ত দোকান পাঠ গুলি বন্ধ ছিল৷ যান চলাচল একেবারে বন্ধ জনগনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়৷ তাছাড়া অন্য কিছু অপ্রতিকর ঘটনা শুনা যায় না৷ বিজেপির কর্মীরা কমলাসাগরের বিভিন্ন রাস্তায় পিকেটিং করা হয়৷
সুদীপ দত্ত ভৌমিকের হত্যাকে কেন্দ্র করে যারা রাজ্যের সাথে বিজেপি এর ডাকা ১২ ঘন্টা বন্ধ এক প্রকার সফল৷ সকাল ৬টা থেকেই গাড়ি চলাচল না করলেও মানুষের ভীর লক্ষ করা যায় বাজার সহ রাস্তার অলি গলিতে৷ কিছু কিছু দোকান পাট খোলা থাকলেও বিদ্যালয়ও বিভিন্ন দপ্তর গুলি খোলার আগেই বিজেপি দলের পিকেটাররা বন্ধ করে দেয়৷ এক প্রকার বলতে গেলে সকাল থেকেই বিজেপি’র কর্মি সমর্তকরা বাইক নিয়ে তেলিয়ামুড়া শহর সহ গ্রাম গুলির পক্ষে ভারত মাতার স্লোগান দিয়ে এক অপ্রিতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টির চেষ্টা করে৷ বাদ যায় নি মহকুমা শাসকের দপ্তর ও৷ একমাত্র জরুরী পরিষেবার ক্ষেত্রে তেলিয়ামুড়া পুরপরিষদ খোলা ছিল৷ প্রথম থেকে বন্ধ করার চেষ্টা করলেও ব্যার্থ হয়৷ পরবর্তী সময়ে যখন পুর পরিষদের কাজ স্বাভাবিক চলছিল ঠিক তখনই বিজেপি’র পিকেটাররা এক প্রকার জবর ধস্তি পুরপরিষদের ভিতরে প্রবেশ করে৷ সৃষ্টি হয় উত্তেজনার, চেয়ারম্যানের সাথে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি করে বিজেপি নেতা অশিষ দেবনাথ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে এস ডি পি ও তাপস দেব সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী পুর পরিষদে ছুটে যায়৷ এক প্রকার জরুরী তিন পরিষেবা যেমন দুটি এম্বোলেন্স ও একটি শব পরিবাহী গালি আজ পরিষেবা দিতে ব্যার্থ হবে বলে জানায় চেয়ারম্যান এস ডি পি ও জানায় বন্ধ পালিত হয় একটি দুটি ছোট ঘটনা বাদ দিলে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *