BRAKING NEWS

এনআরসি প্রশ্নে অসমকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র আল কায়দা ও আইএসআই-এর, গোয়েন্দা সূত্রে খবর

গুয়াহাটি, ২৩ নভেম্বর (হি.স.) : অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নবায়নের কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন না হয় তার জন্য কোমর কষে ময়দানে নেমেছে আল কায়দা এবং পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এরাই স্থানীয় একটি চক্রকে প্রলোভিত করে রাজ্যের নিম্ন অসমে এনআরসি নবায়নের কাজে বাগড়া দিতে নানা ছলের আশ্রয় নিয়েছে। এদের সাজানো ঘুঁটিতে পা দিয়ে রাজ্যের একাংশ মুলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে ভীতিগ্রস্ত করে তোলার চক্রান্ত চালাচ্ছে এক চক্র। এ এক ভয়ংকর পরিকল্পনা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের জনৈক পদস্থ কর্তা।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কর্তাটি বলেছেন, এই চক্র আগামী ২৭ নভেম্বর অসমের ১.২১ কোটি সংখ্যালঘু মুসলমানদের তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করার দাবিতে রাজপথে নামার ডাক দিয়েছে। তা করা হচ্ছে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে।
মূলত, এনআরসি নবায়ন প্রক্রিয়াকে যে কোনও উপায়ে বন্ধ করার এ এক গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন তিনি। বিষয়টিকে এতটাই গোপন রাখা হয়েছে এ সম্পর্কে কাকপক্ষিও টের পাচ্ছে না। তবে ২৭ তারিখ রাজপথে বেরনোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিম্ন অসমে এক চাপা উত্তেজনাও বিরাজ করছে বলে নাকি পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে খবর রয়েছে।
তবে ইতিমধ্যে এই বার্তা কেউ কেউ হোয়াটসঅ্যাপে ছেড়ে দেওয়ায় বিষয়টি আর চাপা হয়ে থাকেনি। বার্তা ভায়রাল হয়ে গেছে ধুবড়ি, দক্ষিণ শালমারা এবং বরাক উপত্যকার বিভিন্ন মহলে। ম্যাসেজটি ছডিয়ে যাওয়ায় রাজ্য পুলিশেরও কালো ঘাম ছুটছে।
সূত্রের দাবি, কাশ্মীরের পর আইএসআই এবং আলকায়দা এবার অসমকে তদের টার্গেট করেছে। এই দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বাস্তবায়িত করতে বিশেষভাবে হাত করেছে জামাত-উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর সঙ্গে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা জেলা ধুবড়ি, দক্ষিণ শালমারা, মানকাচর এবং করিমগঞ্জের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বাড়াতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেএমবি-র ওপর।
পুলিশ কর্তাটি আরও জানান, মায়ানমার থেকে পালিয়ে যে সব মুসলমান এসেছে তাদের নিয়ে একটি নয়া সংগঠন গড়েছে জেএমবি। এদের সংখ্যা এ মুহূর্তে ১৮ হাজার। বাংলাদেশের পাশাপাশি তলে তলে অসমেও তারা তাদের ভিত মজবুত করছে। এদের নিয়ে অসমের সব মুসলমানকে একত্রিত করার কাজ করছে জেএমবি। ইতিমধ্যে এরা ধুবড়ি, দক্ষিণ শালমারা, মানকাচর, করিমগঞ্জের বিভিন্ন গোপন ডেরায় বসে মিটিংও করেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে জানিয়েছেন সূত্রটি।
এই সব মিটিং বা বৈঠকে কেবল এনআরসি সম্পর্কে মুসলমানদের প্ররোচিত করাই নয়, সর্বতোপায়ে এনআরসি নবায়ন প্রক্রিয়াকে বন্ধ করার ডাক দেওয়া হয়েছে।
তবে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসে নেই বলে দাবি করে সূত্রটি জানিয়েছে, গোটা ঘটনাক্রমের ওপর নজরদারি বাড়াতে এবং তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অসম পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক (এডিজিপি) মুকেশ আগরওয়ালার নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নজরেও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *