রাজ্যের ৩০৯টি জনবসতিতে বিদ্যুৎ নেই , ডিপিআর তৈরী করা হবে সৌভাগ্যের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ নভেম্বর৷৷ বর্ষার প্রকোপ শেষ হয়েছে৷ এখন কাজ করতে সমস্যা হবে না৷ তাই রাজ্যের রাম পাহাড়ে উন্নয়নমূলক কাজগুলি দ্রুত শেষ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের মন্ত্রী মানিক দে৷ আজ প্রজ্ঞাভবনে পঞ্চায়েত দপ্তরের পর্যালোচনা সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন৷ সভায় জিলা পরিষদগুলির সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতি, বিএ সি’র চেয়ারম্যানগণ, পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন৷
পর্যালোচনা সভায় বিভিন্ন পঞ্চায়েত, ভিলেেজ সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুতায়ন সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে আলোচনা করা৷ জনপ্রতিনিধি, আধিকারিকগণ বিভিন্ন কাজ করাতে গিয়ে সড়ক খারপ হয়ে গেছে সেগুলি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেরামত করা হবে৷ তিনি পূর্ত দপ্তরের মূখ্য বাস্তুকারকে বলেছেন, অবিলম্বে এন বিসিসি’র প্রতিনিধিদের ডেকে কথা বলতে৷ রাস্তাগুলির কাজ যেন শীঘ্রই শুরু করা হয়৷
আলোচনায় বেরিয়ে এসেছে রাজ্যের দূরবর্তী ৩০৯টি জনবসতিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানান, বিদ্যুতায়ণের জন্য সৌভাগ্য নামে নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এজন্য রাজ্যের ডিপিআর তৈরী করা হবে৷ তিনি পঞ্চায়েত ও ভিলেজ কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎহীন জনবসতি এবং আংশিক বিদ্যুতায়িত জনবসতির তালিকা প্রস্তুত করতে বলেন৷ পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সরকারী নিয়ম সঠিকভাবে মেনেই কাজ করতে হবে৷ তিনি বলেন, আগামী ২৩ নভেম্বরের মধ্যে গ্রাম স্তরে সভা থেকে আজকের বৈঠকের বিষয়বস্তু যেন তুলে ধরা হয়৷ তিনি বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলি দ্রুত শেষ করতে হবে৷
সভায় একটি পুস্তিকার আবরণ উন্মোচন করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী৷ তাতে বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধার হয়েছে৷ তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তরের সচিব এম এল দে জানান, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তর রাজ্যের উন্নয়নের তথ্য সম্বলিত ‘আমরা এগিয়ে চলছি’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেছে৷ আমরা কোথায় ছিলাম কোথায় এসেছি নামে একটি ফোল্ডারও প্রকাশ করেছে৷ তাতে ১৯৭২ সালে রাজ্যের অবস্থা এবং বর্তমান রাজ্যের উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে৷ পর্যালোচনা সভায় আলোচনা করেন পঞ্চায়েত দপ্তরের প্রধান সচিব, অধিকর্তা প্রমুখ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *