BRAKING NEWS

জিএসটি’র সিদ্ধান্ত সঠিক, তবে রূপায়নে যন্ত্রণার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী ঃ অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ অক্টোবর৷৷ জিএসটি যন্ত্রণায় মানুষের রাগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস সহ শরিকদেরও এই পরিস্থিতির সাথে সামিল করেছেন৷ কটাক্ষের সুরে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷ তাঁর সাফ কথা, জিএসটি’র সিদ্ধান্ত সঠিক৷ কিন্তু, তা রূপায়নে যন্ত্রণার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী৷
সম্প্রতি ভদোদরায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিএসটি’র জন্য বর্তমানে দেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে কংগ্রেসও সমান শরিক৷ তাঁর কথায়, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তাতে কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে কংগ্রেস সহ অবিজেপি রাজ্যগুলিও রয়েছে৷ সুতরাং, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য একা কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করা যাবে না, দাবী করেন প্রধানমন্ত্রী৷ এবিষয়ে অর্থমন্ত্রী ভানুলাল সাহা বুধবার মহাকরণে সাংবাদিকদের বলেন, জিএসটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন দ্বিমত নেই৷ কিন্তু, তা রূপায়ণে যে যন্ত্রণার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী৷ কাউন্সিলের বৈঠকে আগামী অর্থবর্ষে জিএসটি সারা দেশে কার্যকরের জন্য বলা হয়েছিল৷ কিন্তু, বিশেষ চমক দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তড়িঘড়ি সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডেকে মাঝরাতে জিএসটি সারা দেশে চালু করে দিয়েছে৷ ফলে, ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরা এখন সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন৷
অর্থমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৭৩ লক্ষ ব্যবসায়ী জিএসটি’তে নথিভুক্ত হয়েছেন৷ তাঁদের মাত্র ৪৭ লক্ষ ব্যবসায়ী রিটার্ন জমা দিয়েছেন৷ ২৬ লক্ষ ব্যবসায়ী এখনো তাঁরা রিটার্ন জমা দিতে পারেননি৷ তাঁদের অধিকাংশই ছোট এবং মাঝারি ব্যবসায়ী৷ অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, অনেকেই জিএসটি ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না৷ রিটার্ন কিভাবে দাখিল করতে হয় তার সম্যক ধারণাও তাঁদের নেই৷ ফলে, ব্যবসায়ীরা মহা ফ্যাসাদে পড়েছেন৷ অর্থমন্ত্রীর কটাক্ষ, এখন ব্যবসায়ীরা ক্ষেপেছেন, গুজরাটে রাস্তায় নেমেছেন৷ তাই, মানুষের রাগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রধানমন্ত্রী নিজেদের ব্যর্থতা অন্যের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন৷ অর্থমন্ত্রী বলেন, জিএসটি চালু করার সিদ্ধান্ত একদম সঠিক৷ কিন্তু, তা রূপায়ণে তড়িঘড়ি করাটা ঠিক হয়নি৷ তাছাড়া, প্রথমে যখন জিএসটি’র প্রস্তাব এসেছিল তখন অনলাইন পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্ত কিছু রূপায়নের বিষয়টি ছিল না৷
আজ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির উপস্থিতিতে জি এস টি সংক্রান্ত একটি মতিবিনিময় হয়৷ সভায় পৌরোহিত্য রাজ্যের অর্থ মন্ত্রী ভানুলাল সাহা৷ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিব এম নাগারাজু, কর ও আবগারী সংস্থার কমিশনার ডাঃ ব্রহ্মণীত কৌর৷ সভায় জি এস টি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের বক্তব্য ও পরামর্শ তুলে ধরেন৷ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, কর দাতাদের সুবিধার্থে আগামী ২০-১০-২০১৭থেকে আগরতলার প্যালেস কম্পাউন্ডস্থিত কর ভবনে একটি রিটার্ন ডেস্ক চালু করা হবে৷ যেখানে অফিস চলাকালীন সময়ে ইচছুক করদাতাগণকে রিটার্ন দাখিলে সহায়তা করতে কর আধিকারিকগণ উপস্থিত থাকবেন৷ একই সুবিধা কর ও আবগারী সংস্থার জেলা অফিসমূহেও উপলব্ধ থাকবে৷ সকল স্তরের করদাতাগণকে জি এস টি রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত যে কোনো প্রয়োজনে রিটার্ন ডেস্কের সুবিধা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *