অসময়ের বৃষ্টিতে দক্ষিণ ও গোমতী জেলার বহু এলাকা প্লাবিত, মৌসম বিভাগের পূর্বাভাস সুখকর নয়, উদয়পুরে বজ্রাঘাতে স্বামীর মৃত্যু, গুরুতর আহত স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ অক্টোবর৷৷ অসময়ের বৃষ্টিতে রাজ্যের দক্ষিণ ও গোমতী জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে৷ বেশ কিছু বাড়ি ঘরের মানুষ অন্যত্র চলে গিয়েছেন৷ হাটুর উপর জল জমে গিয়েছে৷ এদিকে, টানা বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতও হয়েছে৷ বজ্রাঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এবং তাঁর স্ত্রী গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ বজ্রঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে গোমতী জেলার উদয়পুরের ডাকমুড়ায়৷
সংবাদে প্রকাশ, মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি৷ বুধবার দুপুরের পরেও বৃষ্টি হয়েছে৷ এদিকে, দক্ষিণ জেলার শান্তিরবাজার মহকুমার বেতাগার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ণ হয়ে পড়েছে৷ নর্দমার জল রাস্তায় চলে যায়৷ বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ে৷ হাটুর উপর জল উঠানে৷ জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে৷ জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি বাধ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জল জমে গিয়েছে৷
এদিকে, মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার রাত পর্যন্ত চলছে৷ তবে বুধবার রাতে বৃষ্টির মাত্র কম৷ কিন্তু জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে৷ মন্দিরনগরী উদয়পুরে আগামীকাল দেওয়ালী মেলা ও ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের পূজো৷ রাজ্যের সর্ববৃহৎ দেওয়ালী উৎসব এই ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে হয়ে থাকে৷ এবছর ব্যপক আয়োজন করা হয়ছে প্রশাসনের তরফ থেকে৷ রাজ্যেরই বাইরে থেকেও প্রচুর সংখ্যায় পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থী মাতাবাড়ির দেওয়ালী মেলা ও উৎসবে সামিল হন৷ কিন্তু, বৃষ্টিপাতের দজরুণ উৎসাহে কিছুটা ভাটা লক্ষ্য করা গিয়েছে৷
এদিকে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে মৌসম বিভাগ জানিয়েছে আগামীকালও রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিশেষ করে দক্ষিণ ও গোমতী জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে৷ অন্যদিকে, রাজধানী আগরতলা শহরেও বৃষ্টি হয়েছে বুধবার সন্ধ্যায়৷ আগামীকালও হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মৌসম বিভাগ৷
প্রসঙ্গত, শান্তিরবাজার, উদয়পুর শহরের যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে সেখানে মূলত নর্দমাগুলি নিয়মিতভাবে পরিস্কার না করার জন্য৷ পুর পরিষদ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জল নিস্কাশনী ব্যবস্থা ঠিকঠাক ভাবে রাখার ক্ষেত্রে চরম গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে৷ তাই সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ণ হয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকা৷ যদিও এবছর প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে৷ কয়েক দশকের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে এবারের বৃষ্টি৷ গোটা রাজ্য ভয়াল বন্যার কবলে পড়ে গিয়েছিল দুই দফায়৷ রাজ্যের নদীগুলির জলস্ফীতির ফলে নতুন নতুন এলাকাও প্লাবিত হয়েছে৷ গত কয়েকদিন আগে মৌসম বিভাগ থেকে জানানো হয়েছিল যে ত্রিপুরা থেকে বৃষ্টি আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছে৷ কিন্তু, তার উপর নতুন করে বৃষ্টি রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *