BRAKING NEWS

মমতা আজন্ম বিদ্রোহী, আত্মজীবনীতে লিখেছেন প্রণব

নয়াদিল্লি, ১৮ অক্টোবর (হি.স.): সাড়ে তিন দশকের রাজনৈতিক সম্পর্ক তাঁদের। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীর তৃতীয় খণ্ড ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’ প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। সেখানেই মমতা সম্পর্কে মুখ খুলেছেন প্রণববাবু।
প্রণবের চোখে মমতা ‘আজন্ম বিদ্রোহী’। এই প্রসঙ্গে প্রণব স্মরণ করেছেন ১৯৯২ সালের প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনের কথা। প্রণব তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, সেবার সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছিল যে, কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনে ভোটাভুটি হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্য চলে আসেব, তাই নেতারা চাইছেন যেন সাংগঠনিক নির্বাচন সর্বসম্মতির ভিত্তিতে হয়। বিষয়টি দেখার জন্য তাঁকে দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস সভাপতি পিভি নরসিংহ রাও কলকাতায় পাঠান। সেবারের শীতে এই কংগ্রেস নেতাদের একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রণবের আমন্ত্রণে বৈঠকে ছিলেন মমতাও। বৈঠকের মাঝে মমতা হঠাৎই অভিযোগ করেন, প্রণব এবং অন্যান্য নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন। নিজেদের মতো করে সাংগঠনিক পদ নিজেদের লোকদের ভাগ বাঁটোয়ারা করে দিচ্ছেন। তাই তিনি চান নির্বাচন হোক। কারণ তাতে তৃণমূল স্তরের কংগ্রেস কর্মীরা নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারবেন। প্রণব লিখেছেন, মমতার এই হঠাৎ অভিযোগে তিনি বিহ্বল হয়ে পড়েন। তিনি মমতাকে বলেন, মমতা এবং অন্যান্য নেতাদের ইচ্ছাতেই সেদিনের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু মমতা সে কথা মানতে চাননি। তিনি প্রকাশ্য নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বৈঠকের মাঝেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। প্রণববাবু লিখেছেন, ওই ঘটনায় সেদিন তিনি অত্যন্ত ‘অপদস্থ ও অপমানিত বোধ করেছিলেন’।
সেবারের প্রদেশ সভাপতি নির্বাচনে সামান্য কিছু ভোটে মমতা, সোমেন মিত্রর কাছে হেরে যান। ফল ঘোষণার দিন মমতা প্রণবকে বলেন ‘আপনি খুশি তো? আমাকে হারানোর ইচ্ছা পূরণ হয়েছে তো’? প্রণব লিখেছেন, আমি ওকে বলি, ও সম্পূর্ণ ভুল করছে। আগের দিনের বৈঠকের পর আমি গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখিনি।
প্রণব লিখেছেন, মমতার এমন এক ক্যারিশ্মা আছে, যাকে ব্যাখ্যা করা কঠিন। মমতা নির্ভীকভাবে নিজের কেরিয়ার তৈরি করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *