BRAKING NEWS

দীপাবলি উপলক্ষ্যে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির ভাসছে আলোর বন্যায়

নিজস্ব প্রতিনিদি, উদয়পুর, ১৭ অক্টোবর৷৷ ঐতিহ্যবাহী দীপাবলি উৎসবের জন্য প্রস্তুত উদয়পুর৷ ১৯ অক্টোবর আলোর

উদয়পুরের ত্রিপুরা সুন্দরি মন্দিরে আলোক সজ্জা৷ ছবি নিজস্ব৷

উৎসব দীপাবলি উপলক্ষ্যে বর্ণময় আলোক মালায় সেজে উঠেছে মন্দির নগরী উদয়পুর শহর৷ ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির ভাসছে আলোর বন্যায়৷ উৎসবের দিনগুলি আনন্দমুখর এবং শান্তিপূর্ণ বজায় রাখতে প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ গতকাল সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেলা কমিটির চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক মাধব সাহা এ কথা বলেন৷ তিনি বলেন, ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় দীপাবলি উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করবেন স্বাস্থ্য, পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী৷ প্রদর্শনী মন্ডপের উদ্বোধন করবেন বন ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী নরেশ জমাতিয়া৷ উপজাতি সাংসৃকতিক মঞ্চের উদ্বোধন করবেন এ ডি সি’র মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা৷ বিশেষ অতিথি থাকবেন পর্যটন মন্ত্রী রতন ভৌমিক সহ বিশিষ্ট জনেরা৷ উৎসব ও মেলাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১৪২ জনের কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ ১০ জনের উপদেষ্টা কমিটি,৩৪ জনের স্টিয়ারিং কমিটি এবং ৯টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে৷ উদয়পুর শহরে প্রবেশ পথে থাকছে ৩টি গেইট৷ বিগত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশী পূর্ণ্যার্থীর সমাগম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ নিরাপত্তার জন্য থাকছে প্রচুর  সংখ্যক পুলিশ৷ ওয়াচ টাওয়ার থাকছে ১০টি৷ বসানো হবে ক্লোজ সার্কিট টি ভি৷ প্রতিটি রাস্তায় থাকবে আর ও পি এবং  পুলিশি টহল৷ থাকবে ডগ স্কোয়াড৷ মেলার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরক্ষা কর্মীদের সহযোগিতায় থাকবে ৫০০ জন স্বেচ্ছসেবক৷ স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে মেলায়৷ সে সঙ্গে থাকবে এ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাও৷ থাকবে পুর্ণ্যাথীদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা৷ তিনি আরও জানান, মেলাে উপলক্ষে যান চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট সড়ক থাকবে৷ পাশ ছাড়া কোন গাড়ীই ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না৷ মেলা প্রাঙ্গণে পুলিশ ও মেলা কমিটি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি, দোকান বা সংস্থা মেলার দুই দিন কোন প্রকার মাইক বা স্বর বর্ধক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবে না৷ দীপাবলি মেলা ও তার সংলগ্ণ এলাকায় সমস্ত রকম মাদক দ্রব্য, জুয়া খেলা ও চিত্রহার নিষিদ্ধ৷ মেলায় পূর্ণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এর রেসকিউ টিমের ব্যবস্থা থাকবে৷ মন্দির এলাকায় ২টি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে৷ মেলা কমিটির চেয়ারম্যান বিধায়ক মাধব সাহা জানান, এবার মন্দির এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এবারের মেলায় বিশেষ আকর্ষণ মন্দিরের চূড়া ব্যতিত কোথাও কোন রকমের বাল্ব লাগানো হবে না৷ এক ধরণের ১২০ টি বিশেষ লেসার বাল্ব মন্দিরের চারিদিকে লাগানো হবে৷ যা একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর সাতটি রং, মূল মন্দিরকে শোভায়িত করবে৷ এদিকে, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তর থেকে দুই দিন ব্যাপী ধন্যমানিক্য মুক্ত মঞ্চ ও উপজাতি সংসৃকতি মঞ্চে সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ তিনি জানান, জাতি-উপজাতির মিলন মেলাকে সার্বিকভাবে সফল করে তোলার জন্য রাজ্য প্রশাসন ও মেলা কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ মেলা ও উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে অতিবাহিত হয় তারজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি৷ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পর্যটন মন্ত্রী রতন ভৌমিক, জেলা শাসক র্যাভেল হেমেন্দ্র কুমার, অতিরিক্ত জেলা শাসক অনিমেষ দাস, পুলিশ সুপার বিজয় দেববর্মা, মহকুমা শাসক সহ মেলার সাথে যুক্ত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *