মোগাদিসু, ১৫ অক্টোবর (হি.স.) : জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু। মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। আহত কমপক্ষে ৩০০ জন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারের তরফে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি কোনও সংগঠন। এই ঘটনায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহি ফারমাজো।
তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিত্সার জন্য আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বিস্ফোরণস্থল দুটির মধ্যে একটি মোগাদিসুর ব্যস্ততম এলাকা সাফারি হোটেলের বাইরে। অন্যটি শহরের মেদিনা এলাকায় |
জানাগেছে, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় হোডান ডিস্ট্রিক্টের ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা কে-ফাইভ মোড় লাগোয়া একটি বহুতল হোটেলের সামনে বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাকে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তে ধসে পড়ে সাফারি হোটেল নামে ওই হোটেল সহ আশপাশের বাড়ি এবং দোকানপাট। দূরবর্তী বেশ কিছু দোকান, বাড়ির কাচ, দেওয়ালেও ফাটল ধরে। আগুন ধরে যায় হোটেলের সামনে পার্ক করে রাখা বেশ কিছু গাড়িতে।
বিস্ফোরণে আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময় খবর মেলে শহরের মেদিনা এলাকায় নতুন করে আরও একটি বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখানেও হতাহতের সংখ্যা অনেক। ঘটনার পর তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ বিস্ফোরণস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
প্রশাসন জানিয়েছে, ওই হোটেলে সাধারণত সাধারণ নাগরিকরাই যেতেন, সরকারি কর্মীরা নয়। ফলে হতাহতরা অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। এলাকা ঘিরে রেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ভিড়ে ঠাসা এলাকায় সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে বিস্ফোরণ হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এখনও কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
এতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহি ফারমাজো।
সোমালিয়ায় ২০০৭ সালে পর থেকে দেশটিতে এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। পুলিশ জানিয়েছে, রাজধানীর একটি হোটেলের বাইরে গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পাশ্ববর্তী কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণে পাশে রাখা বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এর দুই ঘণ্টা পর মোগাডিশুর মেদিনা জেলায় আরেকটি বোমা বিস্ফোরণ হয়।