স্টকলহোম, ৪ অক্টোবর (হি. স.): মহাকর্ষীয় তরঙ্গ বিক্ষোভ আবিষ্কার করে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন গবেষক। পদার্থবিজ্ঞানের এই নোবেল গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিজ্ঞানী রাইনার ভাইস, ব্যারি সি ব্যারিশ এবং কিপ এস থোর্নের হাতে। লাসের ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরিতে (লিগো) মহাকর্ষীয় তরঙ্গ আবিষ্কার, পর্যবেক্ষণের জন্য এই পুরস্কার পেলেন তাঁরা। পুরস্কার কমিটি জানিয়েছে, এই পুরস্কার অর্থের দু’ ভাগের মধ্যে এক ভাগ পাবেন রাইনার ভাইস। বাকি এক ভাগ সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে ব্যারিশ ও থোর্নের মধ্যে।
প্রায় একশো বছর আগে এই তরঙ্গের অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম অনুমান করেছিলেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। এটা আসলে তাঁরই সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের মৌলিক ফল।
লিগো একটা মিলিত প্রকল্প। প্রায় ২০টা দেশের ১০০০ জন বিজ্ঞানী এক সঙ্গে কাজ করছেন। ৫০ বছর ধরে এই বিষয়ের ওপর কাজ করছেন লিগোর গবেষকরা। অবশেষে এই তিন জন সাফল্য পেলেন। তাঁরা এই তরঙ্গ ধরতে সক্ষম হলেন।
এই তরঙ্গ প্রথম সনাক্ত করা গিয়েছিল ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ হল স্পেস-টাইমের মধ্যে একটা তরঙ্গ বা ঝরনার মতো। এর সৃষ্টি হয় মহাকাশের নানা রকম ক্রিয়া-প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে। যেমন দু’টি মহাকাশীয় ব্ল্যাক হোলের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে বা সেগুলোর ধ্বংসের কারণে।
সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্সের প্রধান গোরান কে হান্সসন বলেন, তাঁদের এই আবিষ্কার গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
২০১৬ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন জন ব্রিটিশ গবেষক। এঁরা টোপোলজির গাণিতিক শৃঙ্খলা আবিষ্কার করেছিলেন। এর ফলে সুপারকনডাক্টর এবং সুপারফ্লুইডের মতো অদ্ভুত বিষয়গুলির কার্যকারিতা বুঝতে সুবিধে হয়।