BRAKING NEWS

তিনমাস পর চাকুরী যাচ্ছে ১০৩২৩, শিক্ষক নিয়োগে তৎপর রাজ সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ সেপ্ঢেম্বর ৷৷ শিক্ষক নিয়োগে শীঘ্রই পরীক্ষা নেওয়া হবে৷ সম্প্রতি স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং বুনিয়াদী স্তরে প্রায় ৩৩৭০ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে৷ শীঘ্রই তাদের হাতে অফার পৌঁছে যাবে৷ তা সত্বেও ১১৮৩০ টি শিক্ষকের শূন্যপদ থাকবে৷ এই সংবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী তপন চক্রবর্তী৷
রাজ্য সরকারের জন্য সবচেয়ে দুঃশ্চিন্তার বিষয় হল আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকুরী বাতিল হয়ে যাবে৷ ফলে বিরাট সংখ্যক শিক্ষকের ঘাটতি দেখাদেবে রাজ্যের বিভিন্ন সুকল গুলিতে৷
শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী টেট উত্তির্ণ হওয়া ছাড়া কাউকেই শিক্ষক পদে নিয়োগ করা যাবে না৷ কিন্তু সমস্যার বিষয় হল, টেট দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম শর্ত বিএড ডিগ্রি নেওয়ার জন্য প্রয়োজনিয় সংখ্যক বিএড কলেজ রাজ্যে নেই৷ রাজ্যে বর্তমানে সরকারী এবং বেসরকারী মিলিয়ে পাঁচটি বিএড কলেজ রয়েছে৷ তাথেকে প্রতিবছর ৫৫০ জন বিএড পাশ করে বেরোচ্ছেন৷ স্বাভাবিক ভাবেই ১১হাজারের অধিক শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে রাজ্য সরকারকে৷
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রশিক্ষিত শিক্ষকদেরই বাছাই করা হবে৷ এরজন্য টি আর বিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগের বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই আবারও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷ কারণ, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর রাজ্যের সুকল গুলিতে প্রচুর শিক্ষকের প্রয়োজন হবে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, টিআরবিটি বাছাই করে যে শিক্ষকপদে নিয়োগের জন্য যাদের নাম পাঠাচ্ছে তাদের হাতে অফার তুলে দিতে দেরি করবেনা শিক্ষাদপ্তর৷ ধারণা করা হচ্ছে, আগামী বিধানসভা নির্র্বচনের আগেই ভালো সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করে শূন্যপদের সংখ্যা কমাবে রাজ্য সরকার৷
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন সুকলে শিক্ষক স্বল্পতা দূরীকরণে প্রয়োজনের অধিক শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে এমন সুকল থেকে অন্যত্র তাদের বদলি করা হচ্ছে৷ কিন্তু, এই উদ্যোগ ১লা জানুয়ারী ২০১৮ থেকে স্বস্তি দেবে না রাজ্য সরকারকে৷ কারণ, একসাথে ১০৩২৩ জন শিক্ষকের চাকুরী বাতিল হওয়ার সাথে সাথে সুকলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের উপর চাপ বাড়বে৷ এই সমস্যাও মোকাবিলা করতে হবে রাজ্য সরকারকে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *