কলকাতা, ১৮ সেপ্টেম্বর (হি. স.): ‘যে যে ইস্যু গুলো নিয়ে সরব হয়েছি, সে গুলোকে নিয়ে উত্তর দিতেই হবে, এড়িয়ে যাওয়া যাবে না’। ট্যুইট করে এই ভাবেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের দিকে তোপ দাগলেন বহিষ্কৃত সি পি এম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধায়।
এতদিন ঋতব্রতর অভিযোগ ছিল সি পি এম পলিটব্যুরোর সদস্য সাংসদ মহম্মদ সেলিম ও তাঁর ছেলে রাসেল আজিজের বিরুদ্ধে। কিন্তু পার্টি থেকে তাঁকে বহিষ্কারের পর গোটা মুজফর আহমেদ ভবনটাকেই তিনি কাঠ গোড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন।
যার প্রশ্রয়ে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধায়ের খুব দ্রুত উত্থান বলে পার্টির অন্দরের অনেকেরই অভিযোগ, সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁর বহিষ্কারের বিষয়ে মন্তব্য না করায় বিস্মিত ঋতব্রত। তাঁর প্রতিক্রিয়া, একুশ বছরের সম্পর্ক। নাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হল।
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে দল তাকে বিচ্ছিন্ন করেছে। বহিষ্কৃত হবার পরেও ট্যুইটারে সরব ঋতব্রত। বলেছেন, জনগণের জয় হোক। জয় বাংলা। জয় হিন্দ।
টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে তার মূল অভিযোগ ছিল মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মহম্মদ সেলিম ধর্মের ভিত্তিতে সি পি এম-এর পলিটব্যুরোর সদস্য হয়েছেন। সেলিম দলের মধ্যে কোটারি চালাচ্ছেন। প্রকাশ ও বৃন্দা কারাতদের চাপে পার্টির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কোনঠাসা। এই সমস্ত ইস্যুই দলের সামনে পুনরায় রেখেছেন ঋতব্রত।
মহম্মদ সেলিম অবশ্য বলেছেন, শুধু মাত্র আমার বিরুদ্ধেই আক্রমণ কেন। ঋতব্রতর বিরুদ্ধে পার্টির তদন্ত কমিশনে তো আরও দুজন ছিলেন। মৃদুল দে এবং মদন ঘোষ। তাদের বিরুদ্ধে তো একটি কথাও বলছেন না ঋতব্রত। রাজনৈতিক মহলের মতে, ঋতব্রতর আর লাল পতাকার প্রতি আগ্রহ নেই। তাই সি পি এম বা বামেদের কারও নাম না করেই নিজের আওয়াজ তুলছেন সোস্যাল মিডিয়ার নানান প্ল্যাটফর্মে।