BRAKING NEWS

গুজরাটে দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে অমিত শাহ

অামেদাবাদ, ১৮ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : গুজরাটে দাঙ্গা সংক্রান্ত একটি মামলার হাজিরা দিতে আদালতে পৌঁছলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ২০০২-র দাঙ্গার ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি মন্ত্রী মায়া কোদনানির সাক্ষী হিসেবে সোমবার আদালতে গেলেন তিনি। গুজরাটের আমেদাবাদে বিশেষ অাদালতে অাসেন অমিত শাহ। একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন কোদনানি।
গুজরাটে নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কোদনানি ছিলেন শিশু ও নারীকল্যানমন্ত্রী। তিনি একজন দক্ষ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞও। ২০১২ তে মায়া কোদনানিকে ২৮ বছর কারাদণ্ড দেয় আদালত। দোষী সাব্যস্ত অন্য ৩০ জনকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরি হয়। গোধরা কাণ্ডের একদিন পর, ২৮ ফেব্রুয়ারি আমেদাবাদের নারোদা এলাকায় বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় একশোজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গ্রেফতার হন মায়া কোদনানি।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলতে তিনি নিজের পিস্তল থেকে গুলি চালান বলেও অভিযোগ ওঠে। ‘তেহেলকা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হামলায় কোদনানির ভূমিকা মেনে নেন বজরঙ্গ দলের সদস্য সুরেশ রিচার্ডস এবং প্রকাশ রাঠৌর। ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনভর নারোদা এলাকায় তিনি গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছিলেন বলে দাবি করেন তাঁরা। তবে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে কোদনানিকে গ্রেফতার করা যায়নি।
২০০৮ সালে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে নারোদা কাণ্ডের তদন্তভার নেয় বিশেষ তদন্তকারী দল সিট। ২০০৯ সালে গ্রেফতার হন কোদনানি। ২০১২ সালের ৩১ আগস্ট ২৮ বছরের জেল হেফাজত হয় তাঁর। ২০১৩ সালের ১৭ এপ্রিল তাঁর মৃত্যুদণ্ডের সপক্ষে গুজরাট হাইকোর্টে আবেদন জানায় রাজ্য সরকার। ২০১৩-র ১৪ মে অবশ্য সেই আবেদন তুলে নেওয়া হয়।
এরপর ২০১৪ সালে বিজেপি কেন্দ্রে আসার পর জুলাইয়ে তাঁকে জামিন দেয় গুজরাত হাইকোর্ট। ঘটনার সময় তিনি সেখানে হাজির ছিলেন না বলে দাবি করেন। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সম্প্রতি অমিত শাহকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে ডাকার আর্জি জানান। তাঁর দাবি, ঘটনার সময় রাজ্য বিধানসভায় ছিলেন তিনি। সেখান থেকে গোধরা আক্রান্তদের চিকিৎসার তদারকি করতে সরাসরি সোলা সিভিল হাসপাতালে চলে যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *