কলম্বো, ৩ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : রবিবার একদিনের সিরিজেও শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যেই প্রেমদাসা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নামছে ভারত। ইতিমধ্যেই চলতি একদিনের সিরিজে চারটে ম্যাচ জিতে ফেলেছে কোহলি ব্রিগেড। ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচে নামার আগে আত্মবিশ্বাসে টগবগিয়ে ফুটছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
২০১৪-১৫ সালে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ সিরিজ়ে পরাস্ত করেছিল ভারত। সেই রেকর্ড বিদেশের মাঠেও অক্ষুণ্ণ থাকে কি না, এখন সেটাই দেখার। গত ম্যাচে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির ধামাকাদার শতরানের দৌলতে শ্রীলঙ্কাকে ১৬৮ রানে পরাস্ত করে ভারত। এই ম্যাচেও ভারত যে ব্যাটিং শক্তিকে হাতিয়ার করে মাঠে নামবে, তা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না।
অন্যদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনি মণীশ পান্ডেকে সঙ্গী করে ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। সুতরাং, ভারতের লোয়ার মিডল অর্ডারও যে কতটা শক্তিশালী তা বোঝাই যায়। যেহেতু এটাই সিরিজ়ের শেষ ম্যাচ, তাই কোহলি আজও ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা চালাতে পারেন। ইতিমধ্যে মায়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে রবিবার দেশে ফিরেছেন দলের বাঁ-হাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ান। তাঁর জায়গায় দলে আসতে পারেন অজিঙ্কা রাহানে। দলের বোলিং ডিপার্টমেন্টে রয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ এবং শার্দুল ঠাকুর। সঙ্গে রয়েছেন দুই বাঁ হাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব এবং অক্সর প্যাটেল। এরাই শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন আপকে ধসিয়ে দিতে যথেষ্ট।
অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা প্রায় সকলেই অবসর নিয়েছেন। বদলে দলে সুযোগ পেয়েছে প্রচুর নতুন মুখ। তাঁদের দিয়ে ভারতীয় দলকে আটকানো একেবারে সম্ভব হচ্ছে না। শ্রীলঙ্কা দলের এখন একমাত্র লক্ষ্য কীভাবে এই হোয়াইটওয়াশ আটকানো যায়।
দলের অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে চলতি সিরিজ়ের পর তিনি নিজের ক্রিকেটীয় ভবিষ্যৎ নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। শ্রীলঙ্কা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ কিন্তু প্রতিটা ম্যাচেই নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। সঙ্গে রয়েছেন কুশল মেন্ডিসও। দলের তরুণ স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়ও এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়া দলের বোলিং ডিপার্টমেন্টে রয়েছেন বিশ্ব ফার্নার্ডো এবং লক্ষ্মণ সান্দাকান।