BRAKING NEWS

অভাবের তাড়নায় ফের সন্তান বিক্রির পথ বেছে নিলেন মা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জুন৷৷  কথা দিয়ে কথা রাখেনি চাইল্ড লাইন থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারা৷ বাধ্য হয়ে তাই দীর্ঘ প্রায় ৫০ দিনের মাথায় আবারও মায়ের কোল ফাঁকা করতে হচ্ছে রামকুমার চৌধুরী পাড়ার রাইনাবতী রিয়াংকে৷ না, কখনোই মাতৃস্নেহ থেকে দূরে রাখতে চাননি বছর দু’য়েকের শুনিজয়কে৷ তবুও অভাবের তাড়নায় ফের একই পথ বেছে নিলেন গন্ডাছড়ার উল্টাছড়া এজিসি ভিলেজের সেই উপজাতি রমণী৷ যিনি এর আগেও গত ১৩ মে তার স্বামী খনজযকে না জানিয়ে সন্তান বিক্রি করতে বেড়িয়ে পরেছিল বাড়ি থেকে৷ মায়ের কোল থেকে মাত্র দুশো টাকার দুই সন্তানের  জননী তার বড় ছেলে শনিজয়-কে বিক্রি করে দিয়েছিল একপ্রকার৷ কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়তেই গত ৩ জুন ধলাইজেলা চাইল্ড লাইন ছুটে যান গন্ডাছড়ায়৷ তাদের কে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সরকারী সুযোগ সুবিধার৷ কিন্তু আজ অবধি কোনও সুযোগ সুবিধা না পেয়ে ফের একই পথের পথিক হলো শনিজয়ের গর্ভধারিণী মা৷ ঘটনার বিবরণ থেকে জানাে গেছে, আট সদস্যের রিয়াং পরিবারে দুই সন্তানের জননী বেশ অশান্তিতেই আছেন৷ গোটা পরিবারের সম্বল মাত্র একটি মাত্র রেশন কার্ড৷ তার উপর সন্তান-সন্ততিদের নামধামও উঠানো হয়নি৷ বিপিএল-ভুক্ত পরিবারের কর্তা খনজয়ও দিন মজুরের কাজ করেন৷ নুন আনতে পান্তা ফুরায়-এই অবস্থায় দুই সন্তান লালন পালনই যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল তার কাছে৷ কি করবে ভেবে না পেয়ে ঐ একরত্তি ছেলেটাকে আবার তার মা রাইনাবতী বেড়িয়ে পরেছে বিক্রির উদ্দেশ্যে৷ রাইনাবতীর কথায়, ‘‘যে সন্তানের রেশন কার্ড নাম তুলবে বলে আশ্বাস দিয়েই ফিরিয়ে দিয়েছিল, আজ অবধি তাও করেনি ওরা৷ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রাদি না থাকায় তাও বের করে দেবে বলেছিল৷ দীর্ঘ দু’মাস হয়ে গেলেও এদের কিছুই করা হয়নি৷ যার রেশন কার্ডে নাম পর্যন্ত নেই, তার তো খাবারও অধিকার নেই এখনো!’’ ওরা কারা? বলল, যারা ফিরিয়ে দিয়েছিল এই সন্তান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *