BRAKING NEWS

শীঘ্রই রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে বিজেপি

আগরতলা, ৯ জুন (হিঃসঃ)৷৷ ত্রিপুরা বিধানসভায় ষাটটি কেন্দ্রের জন্য বিজেপি অতিসত্বর তাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে নেবে৷ অন্যদিকে কংগ্রেস ছেড়ে তূণমূলে যাওয়া ছয় বিধায়ককে চুক্তি সাপেক্ষে বিজেপিতে নেওয়ার বিষয়ে পার্টির রাজ্য কমিটির সিংহভাগ নেতাই দ্বিমত পোষণ করেছেন৷ বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব হিন্দুস্থান সমাচারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘বিজেপিতে সবার জন্য দ্বার খোলা আছে৷ বিজেপি সবকা সাথ সবকা বিকাশ তত্বকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছে৷ কিন্তু, কোন আগাম শর্ত দিয়ে কাউকে বিজেপিতে নেওয়া হবে না৷ সংঘবদ্ধভাবে তৃণমূল বিধায়কদের সেই পরিকল্পনা মাফিক বিজেপিতে নেওয়ার বিষয়ে পার্টির রাজ্য কমিটির সিংহভাগ নেতাই গড়রাজি’৷
তিনি বলেন, ‘বিজেপি ষাট বিধানসভা কেন্দ্রের জন্যই তাদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে নিচ্ছে৷ এর মধ্যে বিরোধী কংগ্রেস ও তৃণমূলের দখলে থাকা ৯টি আসনও রয়েছে৷ পার্টি খুব দ্রুত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিতে চাইছে৷ প্রার্থী চয়নের পর তা অনুমোদনের জন্য পার্টির পার্লামেন্টারী কমিটিতে পাঠানো হবে’৷
তিনি জানান, ‘সারা রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভার আশি শতাংশ বুথের বুথ কমিটি গঠন করা হয়ে গেছে৷ প্রত্যেকটি বুথ কমিটিতে কুড়িজন করে বিজেপির কর্মকর্তা রয়েছেন৷ এর মধ্যে দশজন করে মহিলাও রয়েছেন’৷
পার্টির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, বিজেপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বাম বিরোধী ভোট ভাগাভাগি রুখতে সমস্ত বিরোধী দলের বিধায়কদের বিজেপিতে নিয়ে আসার পক্ষপাতী ছিলেন৷ কিন্তু, রাজ্য কমিটির অধিকাংশ নেতারাই এবিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন৷ উল্লেখ করা যেতে পারে রাজ্যে এই প্রথম কোন বাম বিরোধী দল নির্বাচনের এত আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার উদ্যোগ নিয়েছে৷
এদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে অন্য কোনও দলের সাথে জোট করবে না৷ একাই লড়াই করবে বামেদের সাথে৷ শান্তিরবাজারে দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের রাজ্য প্রভারী সুনীল দেওধর বলেন, পৃথক রাজ্যের দাবিতে যারা সোচ্চার তাদের সাথে জোট করার কোন প্রশ্ণই উঠে না৷ গোটা রাজ্যে দলের সাংগঠনিক শক্তি যথেষ্ট মজবুত৷ আশি শতাংশ বুথ কমিটি গঠিত হয়ে গেছে৷ আগামী দুই মাসের মধ্যে অবশিষ্ট কুড়ি শতাংশ বুথ কমিটিও গঠন হয়ে যাবে৷ তিনি আরও বলেন, চিট ফান্ড ইস্যুতে সিবিআই নিজেদের মতো কাজ করছে৷ অন্যায় যারা করেছে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন তারা রক্ষা পাবে না৷ গবাদি পশু ইস্যুতে সুনীল দেওধর বলেন, রাজ্যে গাই গরুর সংখ্যা খুবই নগণ্য৷ দুধ উৎপাদন তাই সামান্যই হয়৷ শিশুরা গুঁড়ো দুধ ছাড়া কিছু পায় না৷ তার উপর গুরু পাচার হয়ে গেলে দুধ সমৃদ্ধ হবে কি ভাবে? তাই বিজেপি সরকার গরু সংরক্ষণ চেষ্টা চালাচ্ছে৷ বাদল চৌধুরীকে ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলে মন্তব্য করেন সুনীল দেওধর৷ দক্ষিণ জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি৷ দিনভর তিনি শান্তিরবাজারে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন৷ সকালে স্বচ্ছ ভারত-অভিযানে অংশ নেন৷ তারপর স্থানীয় কমিউনিটি মিলনায়তনে যুবমোর্চার সম্মেলনে যোগ দেন৷ মূলত যুবমোর্চার রাজনৈতিক রণকৌশল ও শিক্ষাদানের জন্য তিনি শান্তিরবাজার যান৷ সম্মেলনে শেষে যুবমোর্চার বিশাল মিছিল সংগঠিত করে শহরে৷ মিছিল শেষে পথ সভায় ভাষণ দেন উপস্থিত বক্তারা৷ দিনভর কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছে সংগঠন বিস্তারে তারা কতটা তৎপর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *