BRAKING NEWS

তাঁর নামে মরেছে বাংলাদেশের যুবক, দাবি জীবিত বিকাশের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জুন৷৷ পুলিশ এবং সরকারী নথীতে মৃত বিকাশ রঞ্জন বিশ্বাস৷ অপরদিকে বিকাশ রঞ্জন বিশ্বাসের দাবি সে জীবিত৷ বর্তমান সে ৭৪৭৮১৫৯৯০৪ নাম্বারের মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে৷ মাঝখানে কয়েকদিন ফোনটি বন্ধ থাকার পর পুনরায় সেটি চালু হয়৷ মোবাইলে বেশ কিছুক্ষণ সে বার্তালাপ করে৷ এই বার্তালাপে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে৷ তার দাবি বর্তমানে সে আসামের নওয়াগাঁও এলাকার যমুনা মুখ শ্মশানঘাটে থাকে৷ এক সময় তার সঙ্গে এ শ্মশানে বাংলাদেশ ঢাকার আব্দুল বারেক নামে এক যুবক থাকত৷ সে জানায় আব্দুল বারেক দেখতে অবিকল তার মত৷ ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে বিকাশই চালাকি করে তাঁকে আগরতলায় পাঠায়৷ আব্দুল বারেক আগরতলায় এসে বিএসএফ জওয়ানরা তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়৷ বিকাশই নাকি আব্দুল বারেককে শিখিয়ে দিয়েছিল সে যেন ভারতীয় দাবি করে জিজ্ঞেসবাদে জানায় তার নামই বিকাশ৷ আসল বিকাশের দাবি আব্দুল বারেককে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর বিকাশের আত্মজনেরা নকল বিকাশকে সনাক্ত করতে অস্বীকার করেছিল৷ তখন নাকি পুলিশ অতি বাহাদুরি দেখিয়ে একটি মেয়েকে দিয়ে সনাক্ত করিয়ে নেয় যে আব্দুল বারেকই বিকাশ রঞ্জন বিশ্বাস৷ বিকাশের দাবি মেয়েটিকে নাকি মহিলা কমিশন তাদের হেপাজতে নিয়ে নেয়৷ তাকে তারা একটি হোমে রাখে৷ সেখানে গিয়ে কতিপয় মহিলা বাধ্য করে যাতে ওই মেয়েটি আব্দুল বারেকই বিকাশ রঞ্জন বিশ্বা হিসাবে সনাক্ত করে৷ যদিও সবটিই বিকাশ রঞ্জন বিশ্বাসের দাবি৷ কিন্তু পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এসটি ১০৩ নাম্বার কেইস নাম্বার অনুযায়ী জানা গেছে বিকাশ যে মেয়েটির কথা বলছে সেটি সেই নাবালিকা যাকে বিকাশ সহ আরও কয়েকজন গণ-ধর্ষণ করেছিল বলে অভিযোগ এবং এই অভিযোগেই বিকাশ রঞ্জন বিশ্বাসের সাজা হয়েছিল৷ আর এই সাজা চলাকালীন সময়েই মানসিক হাসপাতালে বিকাশ রঞ্জন বিশ্বাসের হয়ে সাজা ভোগকারীর মৃত্যু হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *