BRAKING NEWS

হঠাৎ বাঁধন হারা

বাম হঠাইবার ব্রত অবাম দলগুলি প্রতিনিয়ত পালন করিয়া যাইতেছে৷ বিজেপির মূল লক্ষ্য কমিউনিস্ট মুক্ত দেশ গড়া৷ কংগ্রেসও চায় সিপিএম হঠাও৷ তৃণমূল কংগ্রেসের মূল্য লক্ষ্য বাম হঠানো৷ এত এত দল বাম হঠাইবার প্রতিজ্ঞায় মুখর হইলেও রাজনীতির হিসাবে বাম হঠিবে কি? ভোট ভাগাভাগির কারণে সংখ্যাগরিষ্ট আসন সিপিএমের ঝুলিতেই পড়িতে পারে৷ একথা অনেক বেশী সত্যি যে, অবাম ভোট ভাগাভাগি বন্ধ না করিলে সিপিএমকে হঠানো অসম্ভব হইবে৷ এই অংক রাজনৈতিক নেতারা বুঝিতেছেন না এমন কথা মানিয়া নেওয়া যাইবে না৷ রাজ্যে এখনই নির্বাচনের তোড়জোর শুরু হইয়া গিয়াছে৷ বিজেপিই কার্য্যত এখন সিপিএমের দুঃশ্চিন্তা বাড়াইয়াছে৷ রাজ্যে একের পর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সফর করিতেছেন৷ আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল রাজ্যের গ্রামীণ এলাকা চষিয়া বেড়াইতেছেন৷ বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচীতে অংশ নিয়া ব্যাপক জন সংযোদ ঘটাইয়া এখন বিজেপির পায়ের তলার মাটি শক্ত হইতেছে৷ সারা রাজ্যে এই দলের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত হইয়াছে৷ এক শিকড় উপড়াইয়া নতুন শিকড় প্রসার অনেক বেশী কঠিন সন্দেহ নাই৷ ত্রিপুরায় ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু হইলেও অবাম শক্তি এখনও বহুধা বিভক্ত৷ বিজেপি নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে এত বেশী সজাগ যে, বিভিন্ন দলের নেতাদের গেরুয়া দলে যোগ দিবার বিষয়ে অনেক বেশী দাম্ভিক আওয়াজ উঠিতেছে৷ সময় সীমা বাধিয়া দিয়া বলা হইয়াছে নির্দ্ধারিত দিনের পর দলে নেওয়া হইবে না৷ এইভাবেই রাজনীতির মঞ্চ নানা বৈচিত্র্যের বর্দ্ধিত হইয়া চলিতেছে৷
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ রায় বর্মন ও তাঁহার অনুগামী বিধায়করা এখন রীতিমতো দিশেহারা অবস্থায়৷ রাজনীতির অংকের হিসাবে অবাম ভোট ভাগাভাগির কারণে সিপিএম বা বামেদের জয়ের সম্ভাবনা থাকিতেছে৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ মুকুল রায় বলিয়াছেন তৃণমূল কংগ্রেসই হঠাইতে পারে বাম সরকারকে৷ বামফ্রন্ট সরকারকে হঠাইতে তৃণমূল কংগ্রেস অগ্রণী ভূমিকা নিবে৷ এইবার কোনও কৌশলই কাজে আসিবে না, বামেরা ক্ষমতাচ্যুত হইবেই৷ মুকুলবাবুদের দল যখন একেবারেই দিশেহারা অবস্থায় কিভাবে সিপিএম হঠাইবার নিশ্চিত কথা বলিতে পারে? পশ্চিমবঙ্গের মতো একই কায়দায় ও কৌশলে ত্রিপুরা হইতেও বামফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা চলিতেছে৷ মুকুলবাবুর মুখে এমন দৃপ্ত আশারবাণী কোন্ শক্তির আঁচে বলিতেছেন তাহা নিয়াও বিতর্ক আছে৷ তাঁহার এই বক্তব্য হইতে অন্তত ইহা স্পষ্ট যে, নির্বাচনের একটি শক্তিশালী অবাম জোট হইবেই৷ বাম হঠাইতে তৃণমূল বিজেপির সমঝোতা উড়াইয়া ফেলিবার মতো নহে৷ নির্বাচনের ঘোষণা না হইলেও রাজনৈতিক তৎপরতা এখন প্রায় তুঙ্গে৷ সামনের এই নির্বাচন নানা কারণেই অনেক বেশী গুরুত্বের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *