BRAKING NEWS

উত্তর জেলায় প্লাবিত এলাকার দুর্গতদের ত্রাণ নিয়ে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ৫ জুন৷৷ প্রকৃতির কু-দৃষ্টি পড়েছে উত্তর জেলার অসম-ত্রিপুরা সীমান্ত চুরাইবাড়ি এলাকায়৷ টানা পাঁচ দিনের প্রবল বৃষ্টিপাতে জলমগ্ণ কূর্তী, রানীবাড়ী, ইচাইলালছড়া, বরগোল, ঠেকনি তারকপুর এবং ঝেরমেরী এলাকা৷ প্রায় ৩৫০-৪০০ পরিবারের ঘরবাড়ী জলের তলায়৷ তবে জেলা প্রশাসন ও ৫৪কূর্তী কদমতলা কেন্দ্রের বিধায়ক ফরজুর রহমান দুর্গত লোকের সাথে কোন যোগাযোগ করেননি৷ পাশাপাশি ত্রাণ নিয়েও উঠেছে অভিযোগ৷ প্রশাসনের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না৷ নামকাওয়াস্তে চলছে দৌঁড়ঝাপ৷ জনপ্রতিনিধিবা দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছেন৷ এক চরম অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে রয়েছেন উত্তর জেলার বিভিন্ন প্লাবিত এলাকার দুর্গত পরিবারগুলি৷ অভিযোগ ভূক্তভোগি সকলের৷ ক্রমশ জল বেড়েই চলেছে৷ পুত্র, কন্যা পরিজন নিয়ে অসহায় অভিভাবকরা৷ অনেক জায়গাতে শরনার্থী হিসেবে সুকল ঘর, ও পঞ্চায়েতে ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যায় কবলিত মানুষ৷ এদিকে অসম ত্রিপুরা সীমান্ত কূর্তী, তারকপুর ও রানী বাড়ী এলাকা বেশি আকারে প্লাবিত হয়েছে৷ অসম-ত্রিপুরা সৎযোগী কূর্তী নদীর জল বিপদ সীমার উপর বইছে৷ পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরাম ও আসামের জল এই নদী দিয়ে নেমে সীমান্তবর্তী এলাকা প্লাবিত করছে৷ বর্তমানে এক ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে এই বন্যা৷ বিগত কয়েক বৎসর যাবৎ এত ভয়ৎকর বন্যা হয়নি কৃষি ভূমি সব একাকার৷ জল জল আর জল৷ সময় যন্ত্রণা সহ্য করছেন ঐ সব এলাকার মানুষ৷ খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে কিন্তু সরকারের তরফ থেকে বা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কোন প্রকার সাহায্যের হাত বাড়ানো হয়নি৷ বাম শাষিত তথাকতিথ স্বর্ণ রাজ্যের ভোট বৈতরনী পার হওয়ার পর সাধারণ জনগন কলার বাকল এমনটা অভিযোগ উঙ্খাপিত হচ্ছে৷ বর্তমানে বৃষ্টি না হলেও জল বেড়ে চলেছে৷ টানাক্রান্ত জনগনের এখন একমাত্র ভরসা ছোট নৌকা, বিধায়ক ফয়জুর রহমান ও জেলা প্রশাসন ঐ সকল বানাক্রান্ত ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে এসে দাড়ান কি না? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ণ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *