BRAKING NEWS

পাহাড়ে ভূমিধস : বহির্বিশ্বের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বরাক-ত্রিপুরা-মিজোরামের

হাফলং (অসম), ০৪ জুন, (হি.স.) : রেল ও সড়কপথে বহির্বিশ্বের সঙ্গে আজও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ডিমা হাসাও জেলার পাশাপাশি দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকা, ত্রিপুরা ও মিজোরাম। ভয়াবহ ভূমিধসে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন ও বাস চলাচল। ভূমিধসের ফলে হাফলঙের শনটিলায় আটকে রয়েছে শতাধিক গাড়ি। বাতিল করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন।

গত প্রায় তিন-চারদিনের ধারা বৃষ্টিপাতের দরুন পাহাড় লাইনের ডিমা হাসাও জেলার(তদানীন্তন উত্তর কাছাড় পার্বত্য জেলা) মুফা এবং দিয়াথুর এলাকায় শুক্রবার রাতে ভূমিধস পড়ে। এতে ওই রুটে সব ধরনের ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বাতিল করেছিল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।

এর আগে ২০ মে-ও অনুরূপভাবে লামডিং-শিলচর রুটের পাহাড়ে ভূমিধসে ব্যাহত হয়ে পড়েছিল রেল পরিষেবা। রাজ্যের অন্যতম পাহাড়ি জেলা ডিমা হাসাওয়ের মুফা-দিয়াথুর এলাকায় রেল ট্র্যাকের ওপর শুক্রবার শেষরাতের দিকে ভূমিধস পড়ে। বেশ কয়েক মিটার ব্যাপী ধসে রেল লাইনের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। বসে গেছে রেল ট্র্যাক। তবে ক্ষিপ্রগতিতে তা সারাইয়ের কাজ চলছে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে। যাত্রী ভুগান্তি চরমে।

ধসের ঘটনায় শিয়ালদা বা গুয়াহাটি থেকে শিলচর এবং আগরতলাগামী (ত্রিপুরার রাজধানী) যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিকে শুক্রবার রাত থেকে লামডিং জংশনে আটকে রাখা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসও। তাছাড়া আগরতলা-শিয়ালদা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে মাঝপথে আটকে রাখার পাশাপাশি সাধারণ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের যাতায়াতও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে শিলচর থেকে গুয়াহাটি বা শিয়ালদাগামী ট্রেনগুলিকে নিউ হাফলং স্টেশন থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এতে হাজারো যাত্রী চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক প্রণবজ্যোতি শর্মা জানান, ভূমিধসের ফলে রাজ্যের পাহাড়ি রেল সড়কের মুফা-দিয়াথুর এলাকায় ৫১-৫১ কিলোমিটার অংশের ট্র্যাক বসে গেছে। পাহাড়ের মাটি ও পাথরের স্তূপ পড়েছে রেল লাইনের ওপর। তিনি জানান, গত প্রায় চারদিন ধরে ওই অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির দরুনই পাহাড়ের মাটি খসে পড়েছে। শর্মা আরও জানান, ঘটনাস্থলে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা গিয়ে পৌঁছেছেন। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য সংস্কারের কাজে বেজায় বেগ পেতে হচ্ছে তাঁদের। এভাবে বৃষ্টিপাত হলে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই রুটে ট্রেন চালানো যাবে কিনা সে ব্যাপারে সন্দিহান তিনি।

এদিকে, পাহাড়ের বেশ কয়েকটি সড়কপথেও ভূমিধস পড়ায় যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে। এতে বহু অঞ্চলে শো শো যানবাহন আটকে পড়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *