ওয়াশিংটন, ৪ জুন (হি.স.) : অবিলম্বে কড়া অভিবাসন নীতি চালু করা প্রয়োজন বলে ফের সরব হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।লন্ডনে সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা করে হামলার পরই টুইটারে সরব হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আদালতকে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতেই হবে। বিপদের মুহূর্তে ব্রিটেনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরও ।
এদিন ব্রিটেনের নাম না করে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে অভিবাসন নীতির প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে তিনি লেখেন, ‘এখনও সময় আছে, বুদ্ধি খাটান, সতর্ক হোন। আরও কড়া হতে হবে আমাদের। দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অবিলম্বে কড়া অভিবাসন নীতি চালু করা প্রয়োজন।’ সেই সঙ্গে শনিবারের হামলার ঘটনায় ব্রিটেনবাসীকে সমবেদনা জানান ট্রাম্প । টুইটারে তিনি লেখেন, ‘এই বিপদে সময় ব্রিটেনকে সবরকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে যে কোনও প্রয়োজনই হোক না কেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি। ভগবান সকলের মঙ্গল করুন।’
এই বিপদের মুহূর্তে ব্রিটেনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হেদার নউয়ার্ট বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘প্রত্যেক মার্কিন নাগরি ব্রিটেনবাসীর পাশে আছেন। বরকম সাহায্য দিতে প্রস্তুত আমরা।’ ব্রিটেনের পরিস্থিতির দিকে ট্রাম্প প্রশাসন নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউস মুখপাত্র শন স্পাইআর।
প্রসঙ্গত, এ বছর জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পরই সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া এবং ইয়েমেন— এই সাতটি মুসলিম দেশের মানুষের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে নিম্ন আদালতে ধাক্কা খায় তাঁর অভিবাসন নীতি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিবাসন নীতিকে ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি দেশের সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। লন্ডন ব্রিজ হামলাকে হাতিয়ার নতুন করে সেই বিতর্কই খুঁচিয়ে তুলেছেন তিনি।
শনিবার পরব পর তিনটি হামলায় কেঁপে ওঠে এই ব্রিটিশ নগরী। প্রথমে লন্ডন ব্রিজের কাছে গাড়ি নিয়ে হামলা চালানো হয়। পরে, লন্ডনের বোরো মার্কেটে ছুরি নিয়ে হামলা চালানো হয়। তৃতীয় যে হামলাটি হয়েছে ভক্স হলের কাছে ।বার্মিংহামে ভারত-পাক ম্যাচের আগে এই হামলায় মৃত কমপক্ষে নয় জন। তিন জঙ্গিও রয়েছে মৃতদের মধ্যে। এক পুলিশকর্মী সহ গুরুতর জখম প্রায় ৩০ জন। মধ্য লন্ডনের ছ’টি হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে বলে টুইটারে জানিয়েছে লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দফতর। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে লন্ডন ব্রিজের উভয়দিকেরই যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএস।-