BRAKING NEWS

কেন্দ্রীয় নীতির কারণেই ব্যাঙ্ক শিল্পে আঘাত এসেছে ঃ মানিক সরকার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ মার্চ৷৷ ব্যাঙ্ক শিল্পে বিরাট আঘাত এসেছে৷ এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় নীতির কারণেই ব্যাঙ্ক শিল্প আজ দেওলিয়া হওয়ার পথে৷ তাই ব্যাঙ্ক শিল্পকে বাঁচাতে সকলকে এক জোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
রবিবার ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের প্রকাশ্য আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত তিন বছরে ব্যাঙ্ক শিল্পে মারাত্মক আঘাত এসেছে৷ ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ব্যাঙ্ক শিল্পকে মারাত্মক বিপদের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে৷ অবশ্য, ব্যাঙ্ক শিল্পের ওপর আঘাত দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল৷ কিন্তু, কেন্দ্রের ক্ষমতায় বিজেপি আসার পর আঘাতের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে৷ রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলিকে বেসরকারি করণের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তাতে, একদিকে যেমন ব্যাঙ্ক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষও মহা বিপদে পড়বেন৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন৷ তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আগের সরকারের আমলে প্রতিদিন ৪৬ জন কৃষক আত্মহত্যা করতেন৷ কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে কৃষক আত্মহত্যা সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে হয়েছে ৫৬৷ নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রতি বছর ২ কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ অথচ রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গেছে,বছরে মাত্র ১ লক্ষ ৪২ হাজার কর্মসংস্থান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কামান দাগেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, জিনিসের দাম কমবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তার বদলে এখন জিনিসের দাম ক্রমশ বেড়ে চলেছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট পন্থা অবলম্বন করতে হবে৷ কিন্তু সেই পথে আগের সরকারও হাঁটেনি এবং বর্তমান সরকারও একই ভূমিকা পালন করছে৷ কালোবাজারি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী এদিন সুর চড়িয়েছেন৷ তাঁর বক্তব্য, কালো বাজারির রোধে কেন্দ্র-রাজ্য একত্র হয়ে কাজ করতে হবে৷ পাশাপাশি রাজ্যের হাতে অধিক ক্ষমতা দিতে হবে৷ কিন্তু কংগ্রেস এবং বিজেপি কোন সরকারই রাজ্যের এই দাবি মানছে না৷ ফলে, কালোবাজারিও রোধ করা যাচ্ছে না৷
এদিন তিনি যোজনা কমিশনের অবলুপ্তির কারণে রাজ্যের আর্থিক ক্ষতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন৷ তিনি জানান, যোজনা কমিশন অবলুপ্তির কারণে রাজ্যের ১৫০০ থেকে ১৬০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে৷ রেগা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, এখন রেগা প্রকল্পে নিত্যনতুন কায়দা অবলম্বন করা হচ্ছে৷ এর মাধ্যমে বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ ফলে, সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী এদিন এ সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *